আমদাবাদ: অমিত শাহ সম্পর্কে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফৌজদারি মানহানির মামলায় রাহুল গাঁধীকে সমন আমদাবাদের আদালতের। বিজেপি সভাপতিকে ‘খুনের আসামী’ বলেছিলেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে এজন্য মানহানির মামলা করেন কৃষ্ণবদন ব্রহ্মভট্ট নামে স্থানীয় বিজেপি পুরপিতা।
প্রাথমিক ভাবে রাহুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ অনু্চ্ছেদের আওতায় ফৌজদারি অবমাননার অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে বলে অভিমত জানিয়ে তাঁকে সমন পাঠান অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ডি এস দাভি। জবাব দিতে হবে ৬ জুলাই।
ব্রহ্মভট্ট অভিযোগনামায় জানান, জব্বলপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি প্রধান অমিত শাহ খুনের আসামী, কী দারুণ! ব্রহ্মভট্টের দাবি, রাহুল অপমানজনক কথা বলেছেন, কেননা সোহরাবুদ্দিন সংঘর্ষ মামলায় ২০১৫-য় সিবিআই আদালত তাঁকে রেহাই দিয়েছে। তাঁর অব্যাহতি পাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করা হলেও তা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট, কোথাও পাত্তা পায়নি। ফলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ অনুচ্ছেদ বলে মানহানির অপরাধ করেছেন রাহুল। অমিত শাহকে রেহাই দিয়ে সিবিআই কোর্টের রায় বিরাট প্রচার পেয়েছিল এবং তা কংগ্রেস সহ গোটা রাজনৈতিক মহলেরও ভাল মতোই জানা ছিল।
রাহুলের কটাক্ষের পর পাল্টা অমিতও বলেন, ওই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতির ‘আইনি জ্ঞান’ নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
২০১৫-য় সোহরাবুদ্দিন শেখ ও তুলসীরাম প্রজাপতি এনকাউন্টার মামলায় অমিত শাহকে নির্দোষ বলে জানিয়ে বিশেষ আদালত বলে, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, কোনও মামলাই হয় না তাঁর বিরুদ্ধে।
গত মাসে রাহুল ও কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাকেও আমদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক ও তার সভাপতির দায়ের করা ফৌজদারি মানহানির মামলায় সমন পাঠায় আরেকটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ওই ব্যাঙ্কের ডিরেক্টক অমিত শাহ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, ২০১৬-য় বিমুদ্রাকরণের ৫ দিনের মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকার বাতিল নোট বদলে বৈধ করে ফেলার কেলেঙ্কারি হয়েছে ওই ব্যাঙ্কে।