ভাদোদারা:  গুজরাতের মেয়ে একুশ বছরের প্রাচী সুখওয়ানির দৃষ্টিশক্তির প্রায় ৮০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তাতেও দমে যাওয়ার মেয়ে নয় সে। দৃষ্টি হারালেও নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছে। সম্প্রতিই সে আইআইএম-আমদাবাদে সুযোগ পেয়েছে।

২১ বছরের প্রাচী বিজনেস অ্যাডমিনিসট্রেশন স্নাতক পাশ করেছে মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ কমার্স থেকে। সদ্যই সে কমন অ্যাডমিশন টেস্টে কোয়ালিফাই করেছে।

রেটিনাল ডিগ্রেডেশন বা ম্যাকুলার ডিস্ট্রফি নামক অসুখে আক্রান্ত প্রাচী। ক্লাস থ্রি থেকে চোখের এই অসুখে ভুগছে প্রাচী। এই ধরনের জিনগত ব্যাধির কোনও চিকিত্সা নেই। কিন্তু সেটা মোটেই প্রাচীর স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাড়ায়নি।

প্রাচীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার জীবনের লক্ষ্য কী? প্রাচী জানায় প্রথমে সে কোনও মাল্টিন্যাশনাল সংস্থায় কাজ শুরু করতে চায়। তারপর সেখান থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিজের চেষ্টায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করতে চায়। প্রাচী ক্যাট ২০১৬-এ ৯৮.৯৯ পার্সেন্টাইল স্কোর করেছে।

প্রাচীর বাবা, যিনি পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত পনেরো বছর ধরে তিনি তাঁর মেয়েকে চেন্নাই নিয়ে যাচ্ছেন চিকিত্সার জন্যে। চিকিত্সকরা তাঁকে বিশেষ রিডিং গ্লাস দিয়েছেন পড়াশোনা চালানোর জন্যে। কিন্তু পড়াশোনায় এত মগ্ন ছিল প্রাচী যে ওই বিশেষ চশমাও তার মনে হয়েছিল, তার এবং বইয়ের মাঝে বড় বাধা। দেশের টপ তিনটে আইআইএম,  আইআইএম আমদাবাদ, আইআইএম বেঙ্গালুরু, আইআইএম কলকাতা থেকেই ডাক পেয়েছিল প্রাচী।