আমদাবাদ: ত্রিকোণের চারটি বাহু রয়েছে। এমনই উত্তর দিল দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। বিহার নয়, ওই ছাত্র গুজরাতের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। হ্যাঁ, বিহারের পর এবার গুজরাতেও শিক্ষাব্যবস্থার এই হালহকিকত ধরা পড়েছে।
আর এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে।সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা ত্রিভূজ ও বৃত্তের পার্থক্য জানে না। একজনের উত্তর ত্রিভূজের চারটি বাহু রয়েছে। অনেকেই দুই সংখ্যার গুণ এবং বিয়োগও করতে ব্যর্থ হয়েছে। একজন সততা দেখিয়ে উত্তরপত্রে লিখেছে, জানি না।
আসলে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গুজরাত সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড দশম শ্রেণীর ৫০০ জন পড়ুয়াকে দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগে তাদের বেশিরভাগই ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কেউ কেউ তো ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। গত ২৪ মে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। এই পড়ুয়ারা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে ভালো নম্বর পেলেও সকলেই গণিতের বিষয়ভিত্তিক বিভাগে কোনও নম্বরই পায়নি। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। ওই ৫০০ পড়ুয়াকে ডেকে বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে কিছু মৌলিক প্রশ্নে তাদের উত্তর সকলের চোখ কপালে তুলেছে।
বিহারের মতো অবশ্য পুকুর চুরি নয়। এক্ষেত্রে অনেকটা সূক্ষ্মভাবে টুকলির কাজ হয়েছে। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, এক শিক্ষক পরীক্ষার হলে সিসিটিভি ক্যামেরার ঠিক নিচে দাঁড়িয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়েছেন। কোনও কোনও পড়ুয়া বলেছে, তারা জানালার বাইরে থেকে গলার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে।
পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের প্রধান অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি) এমএ পাঠান বলেছেন, সংক্ষিপ্ত ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নে প্রাপ্ত নম্বরের ফারাক দেখে সন্দেহ হয়। অথচ বিভিন্ন স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেজন্যই ওই পড়ুয়াদের তলব করা হয়। ওই ৫০০ পড়ুয়ার ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।