নিজেদের মধ্যে অশান্তি মেটাতে না পেরে ডিভোর্স চেয়েছেন ওই দম্পতি। ৫ বছরের মেয়ের কাস্টডি নিয়ে ঝামেলা চলছে তাঁদের মধ্যে। সন্তানের মুখ চেয়েই যে তাঁদের একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন, তা বোঝাতে বিচারপতি পার্দিওয়ালা একটি পেনসিল ভেঙে ফেলেন। তারপর সংশ্লিষ্ট স্বামী স্ত্রীকে নির্দেশ দেন তা জুড়ে দিতে। তিনি বলেন, ভাঙা পেনসিল যেমন জুড়ে ফেলা সম্ভব নয়, তেমনই একবার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আর কখনও আগের মত হওয়া সম্ভব না। বিশেষ করে তাঁদের ছোট্ট মেয়ে এর ফলে যে আঘাত পাবে, তা কাটিয়ে ওঠা কষ্টকর হবে তার পক্ষে।
সংশ্লিষ্ট মহিলা একটি বিমান সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর দাবি, স্বামী মাতাল ও জুয়াড়ি, সংসার নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা নেই। মহিলা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিলে স্বামী জোর করে মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। আদালত শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে হাজিরার নোটিশ দেয়, তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে সমস্যা মিটিয়ে নিতে বলে।
দম্পতিকে আদালতের নির্দেশ, অশান্তি মিটিয়ে আরও একবার বোঝাপড়ার চেষ্টা করুন। বিচারপতি মন্তব্য করেন, তিনিও মানুষ, এভাবে সংসার ভেঙে দিতে তাঁর কষ্ট হয়। স্বামী বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে এর আগে ১০বার মিটমাটের চেষ্টা করেছেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, এবার তাহলে এগারোতম চেষ্টা করুন।