আহমেদাবাদ: গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টানা ষষ্ঠবার সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। শক্তি বাড়িয়েছে কংগ্রেস। এরইমধ্যে দল বদলে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়া সাত বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনকেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। আর তাঁরা হেরেছেন কংগ্রেসের প্রার্থীদের কাছেই।
দলবদলে গৈরিক শিবিরে যোগ দেওসা সাত বিধায়কের মধ্যে পাঁচজন হেরেছেন বিরামগাম, জামনগর (গ্রামীন), বালাসিনর, থারসা ও মানসা আসনে।
যে দুই কংগ্রেসত্যাগী বিধায়ক বিজেপির টিকিটে জিতেছেন তাঁরা হলেন সিকে রাউলজি এবং ধর্মেন্দ্রসিন জাদেজা। তাঁরা যথাক্রমে গোধরা ও জামনগর (উত্তর) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।
গোধরা আসনে টানটান লড়াইয়ে কংগ্রেস প্রার্থী রাজেন্দ্রসিন পারমারকে মাত্র ২৫৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন রাউলজি। যদিও জাদেজা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থীকে ৪০ হাজারের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন। ২০১২-তে ওই দুইজন ওই দুই কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন।
এছাড়া দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া যে বিধায়করা কংগ্রেস প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন তাঁরা হলেন তেজশ্রীবেন পটেল, রাঘবজী পটেল, অমিত চৌধুরী,মানসিন চৌহান এবং রামসিন পারমার।

গত ৮ আগস্ট গুজরাত বিধানসভায় রাজ্যসভা আসনে ভোটের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিন বাঘেলার নেতৃত্বে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ১৪ বিধায়ক। ওই নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী ছিলেন সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ পটেল। বিধায়কদের দলত্যাগে সমস্যায় পড়লেও শেষপর্যন্ত কোনওক্রমে জয়ের হাসি হেসেছিলেন আহমেট পটেল।
যে ১৪ বিধায়ক দল ছাড়েন তাঁদের মধ্যে তিনজন রাজ্যসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন বলবন্তসিন রাজপুত আহমেদ পটেলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন।
রাজ্যসভা ভোটের পর আরও আট দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। যদিও বাঘেলা এবং তাঁর ছেলে মহেন্দ্রসিন বাঘেলা ও আরও এক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেননি।
যে ১১ দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ভোলা গোহেল ও প্রহ্লাদ পটেলকে বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হয়নি। বলবন্তসিন ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাকি আটজনের মধ্যে সাতজনকে টিকিট দিয়েছিল গৈরিক দল।