গুরগাঁও:  গত ২৯ মে রাতে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে কোল থেকে শিশুসন্তানকে ছিনিয়ে রাস্তায়  ছুঁড়ে ফেলে ২৩ বছরের তরুণীকে অটোরিক্সায় ধর্ষণ করেছিল তিন দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পর যেখানে তাঁর সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল, সেখানে ফিরে আসেন। রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা সন্তানকে কোলে তুলে মেট্রোতে চড়ে গুরগাঁওয়েরই একটি হাসপাতালে যান তিনি। কিন্তু চিকিত্সকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করলেও বিশ্বাস করতে চাননি তিনি। সেখান থেকে মেট্রোতে চড়েই দিল্লিতে এসে অন্য একটি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে শিশুটিকে  মৃত ঘোষণা করা হলে ফের গুরগাঁও-তে আসেন ফিরে যান তিনি। সেখানে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে তাঁকে দেখতে পান তাঁর স্বামী। পুলিশ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

গুরগাঁওয়ের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ার একথা জানিয়েছেন। খিরওয়ার বলেছেন, ওই তরুণীর স্বামী ও পুলিশ গুরগাওয়ের এমজি রোড স্টেশনে তাঁকে দেখতে পান। তিনি বলেছেন, শিশুটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

পুলিশ তিন অভিযুক্তের স্কেচ প্রকাশ করে তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য থাকলে জানাতে জনগনের কাছে আর্জি জানিয়েছে।

গত সোমবার রাতে আইএমটি মানেসরের কাছে একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর মাঝরাতে ৯ মাসের মেয়েকে নিয়ে তিনি রওনা হল খান্ডসা গ্রামে, তাঁর বাপের বাড়িতে। প্রথমে তিনি একটি ট্রাকে ওঠেন। কিন্তু ট্রাক চালক শ্লীলতাহানি করলে তিনি নেমে যান। এরপর একটি অটোরিকশায় ওঠেন তিনি, তাতে বসেছিল ৩ জন পুরুষ।

অভিযোগ, তিনি অটোয় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনজন তাঁর শ্লীলতাহানি শুরু করে। ধস্তাধস্তিতে কেঁদে ওঠে তাঁর বাচ্চা। তখন তারা মেয়েটিকে কেড়ে নিয়ে অটো থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

এরপর দিল্লি-গুরগাঁও এক্সপ্রেসওয়ের কাছে খান্ডসা রোডে অটো রিকশার মধ্যেই তারা তাঁকে গণধর্ষণ করে।

চার ঘন্টা ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।

ঘটনার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি অটো চালককে জেরা করা হয়েছে।