গুরগাঁও: উত্তরপ্রদেশে কসাইখানাগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। সরকার অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, শুধুমাত্র অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধেই অভিযান চলবে। তবে রাজ্যের নয়া বিজেপি সরকারের এই উদ্যোগ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও রাজনৈতিকদলগুলির মধ্যে উত্সাহ যুগিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রবণতার নতুন সাক্ষী থাকল গুরুগ্রাম। শিবসেনা কর্মীরা শহরের প্রায় ৫০০ টি মাংস ও মুরগীর দোকান বন্ধ করে দিলেন। তাঁদের ফতোয়া নবরাত্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নয়দিন দোকানগুলি বন্ধ করে রাখতে হবে। মাত্র ২০০ শিবসেনা কর্মীর দাপটে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওল্ড গুরুগ্রামের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিপণি কেএফসি-ও।


এখানেই থেকে থাকেননি শিবসেনা কর্মীরা। তাঁরা আমিষ দোকানগুলিকেও প্রতি বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে।

শিবসেনার গুরুগ্রাম থাকার মুখপাত্র ঋতুরাজ বলেছেন, মাংস ও মুরগীর দোকান ছাড়াও বিভিন্ন হোটেল, ধাবা, আমিষ খাবারের দোকানকে নবরাত্রির দিনগুলিতে দোকান বন্ধ রাখতে তাঁরা বলেছেন। এই নির্দেশ অমান্য করলে ফল ভুগতে হবে বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন।

পালাম বিহারে প্রথমে সমবেত হন শিবসেনা কর্মীরা। এরপর তাঁরা মাংসের বাজার ও মুসলিম ধাবাগুলি বন্ধ করে দেন।

শিবসেনার ওপর নেতা গৌতম সাইনি বলেছেন, তাঁরা কেএফসি-র ক্রেতাদের দোকান খালি করে চলে যেতে বলেন। দোকানের ভেতর আলো নিভিয়ে ঝাঁপ ফেলে দিতে তাঁরা কেএফসি-র কর্মীদের বাধ্য করেন।

সূত্রের খবর, শিবসেনা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে শিবসেনার কর্মীরা সমর্থন পেয়েছেন। যদিও গুরুগ্রাম পুলিশের এসিপি, জানিয়েছেন এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা নেই। তিনি বলেছেন, লাইসেন্সপ্রাপ্ত আমিষ দোকানগুলির ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। এক্ষেত্রে জোর খাটানো হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।