গুরুগ্রাম:  অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সঙ্গে আধার কার্ড ছিল না। তার জেরে ওই মহিলাকে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতিই দিল না সেখানকার কর্মীরা। এরফলে হাসপাতালের বাইরেই সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হলেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে।


সূত্রের খবর, শনিবার গুরুগ্রামের সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে পরিবারের লোকের সঙ্গে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের মুন্নি কেওয়াত। কিন্তু মহিলার সঙ্গে আধার কার্ড না থাকায় তাঁকে হাসপাতালের লেবার রুমে ঢুকতে দেয়নি সেখানকার কর্মীরা। ঘটনাটি জানাজানির পরই, গুরুগ্রামের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার চিকিত্সক বি.কে.রাজোরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নার্স ও চিকিত্সককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

মহিলার স্বামী অরুণ কেওয়াত তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, শনিবার সকাল নটার সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি বিভাগে স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে লেবার বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্মীরা মহিলার স্বামীর থেকে আধার কার্ড চান। কিন্তু সেই সময় তাঁর সঙ্গে কার্ড না থাকায় তিনি, আধার নম্বর দিতে চেয়েছিলেন, এবং পরে আধার কার্ড দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু তাঁর কোনও কথাতেই কান দেয়নি হাসপাতাল কর্মীরা।

এরপর স্ত্রীকে অন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে আধারের প্রিন্ট আউট নিয়ে আসতে যান অরুণ কেওয়াত। সেই সময়ই মহিলাকে ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে ফের নিয়ে গেলে, সেখানেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা মুন্নির প্রসব যন্ত্রণা মারাত্মক বেড়ে যায়। তারপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে মেঝেতেই সন্তান প্রসব করেন ওই মহিলা।

পুরো ঘটনাটি ভিডিওয়ে তুলে রাখে হাসপাতালে উপস্থিত অন্য ব্যক্তিরা। কিন্তু সেই অবস্থাতেও হাসপাতালের একজন কর্মীও সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেনি। শুধুমাত্র সন্তান জন্মের পর মেঝে যখন রক্তে ভেসে যাচ্ছিল, তখন এগিয়ে আসে হাসপাতাল কর্মীরা। সন্তানের জন্মের পরই, হাসপাতাল কর্মীদের এধরনের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে সরব হন মহিলার পরিবার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপর গ্রহণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এক ডাক্তার ও নার্সকে সাসপেন্ড করা ছাড়াও, ঘটনার অন্তর্বর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুরুগ্রামের চিফ মেডিক্যাল অফিসার।