উল্লেখ্য, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজশ কলেজের সেমিনারে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খালিদকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল এবিভিপি। উমরকে জাতীয়তাবাদ বিরোধী তকমা দিয়ে তারা বিক্ষোভ জানায়। তাদের চাপে সেমিনারটিই বাতিল করতে হয়। এর প্রতিবাদ জানায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। এরপরই দুই পক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় এবিভিপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগেন লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী গুরমেহর। তিনি বলেন, বিভিপিকে ভয় পাই না। আমি একা নই। দেশের সব পডু়য়া আমার সঙ্গে আছে।
একইসঙ্গে কয়েক মাস আগে পোস্ট করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে গুরমেহর বলেছেন, আমার বাবাকে পাকিস্তান মারেনি, যুদ্ধে মারা গিয়েছেন তিনি।
তাঁর এই মন্তব্যে নিয়ে রীতিমতো ব্যঙ্গ করে একটি ছবি পোস্ট করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ। তিনি লেখেন, আমি নই, আমার ব্যাট দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছে।
সহবাগের ট্যুইট সমর্থন করেন বলিউড অভিনেতা রণদীর হুডা। তাঁর টুইটটি রিটুইট করে রিজিজু মন্তব্য করেন, এই তরুণীর মাথা কে বিষিয়ে দিচ্ছি আমি জানি। তারপর তিনি বলেন, ভারত কোনওদিনই কাউকে আক্রমণ করেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে যুদ্ধকে প্রতিরোধ করার। বরং ভারত যখনই দুর্বলই হয়েছে তখনই অতীতে একাধিকবার আক্রমণের মুখে পড়েছে।
এদিন আসরে নেমেছেন অলিম্পিকে পদকজয়ী যোগেশ্বর দত্তও। তিনি একটি ছবি পোস্ট করে সহবাগের ঢঙেই গুরমেহরকে বিদ্রুপ করেছেন।
গুরমেহরের পাশে দাঁড়িয়ে রিজিজুকে আক্রমণ করতে গিয়ে জাভেদ আখতার একইসঙ্গে সহবাগ ও যোগেশ্বরকেও পরোক্ষভাবে বিঁধেছেন।
রিজিজুর মন্তব্যের জবাবে জাভেদ এদিন বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক। রিজিজু অভিযোগ করেছেন, কোনও জওয়ানের মৃত্যু হলে বামপন্থীরা তাতে খুশি হয়। রিজিজুর এই মন্তব্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছেন জাভেদ। একইসঙ্গে তিনি রিজিজুকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি গুরমেহর সম্পর্কে জানি না। কিন্তু আপনার মাথা কে বিষিয়ে দিচ্ছে সেটা আমি জানি!
এর পাশাপাশি বীরু ও যোগেশ্বরকে বিঁধে জাভেদ বলেছেন, অল্প শিক্ষিত খেলোয়াড় বা কুস্তিগীর একজন শহিদের শান্তিকামী মেয়েকে নিশানা করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষিত লোকজন তা করবেন কেন।