নয়াদিল্লি: গুরুগ্রামে মুসলিম নিগ্রহের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরব গৌতম গম্ভীর। গত ২৫ মে ২৫ বছরের ওই মুসলিম যুবককে একদল লোক চড়-থাপ্পড় মারে, মাথার টুপি খুলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতেও বাধ্য করে বলে অভিযোগ। গৌতম এর নিন্দা করে দোষীদের ‘দৃষ্টান্তমূলক’ শাস্তি দাবি করেছেন। পূর্ব দিল্লির নবনির্বাচিত বিজেপি এমপি ট্যুইট করেছেন, গুরুগ্রামে এক মুসলিমকে টুপি খুলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা নিন্দনীয়। গুরুগ্রাম কর্তৃপক্ষের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র যেখানে জাভেদ আখতার লেখেন, ‘ও পালন-হরে, নির্গুণ ঔর নেয়ারে’ আর রাকেশ ওম মেহরা আমাদের ‘আর্জিয়া’ গানটি দিয়েছেন।






যদিও দিল্লি বিজেপির একাংশ গৌতমের ট্যুইটে খুশি নন। তাঁর মন্তব্য অস্ত্র করে বিরোধীরা বিজেপিকে আক্রমণ করতে পারে বলে তাঁদের অভিমত। এক বিজেপি নেতা বলেছেন, গম্ভীর আর একজন ক্রিকেটার নন। তাঁর যাবতীয় মন্তব্য, কাজকর্মকে রাজনীতির আতসকাচেই দেখা হবে, এটা বোঝা উচিত গৌতমের। কেউ এধরনের ঘটনা চায় না, কিন্তু হরিয়ানার একটা ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার কী প্রয়োজন, যা বিজেপির বিরুদ্ধে অন্যরা ব্যবহার করতে পারে।
কিন্তু পাল্টা গৌতম তাদের জবাব দিয়ে ট্যুইট করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আমার ভাবনাচিন্তার কেন্দ্রে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর দর্শন। আমি শুধুমাত্র গুরুগ্রামের ঘটনায় নিজেকে সীমায়িত রাখছে না, ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে যে কোনও নির্যাতনই নিন্দনীয়। ভারতের ভাবনা, ধারণাই দাঁড়িয়ে রয়েছে সহনশীলতা ও সবাইকে সামিল করে উন্নয়নের ভিত্তির ওপর।
ক্রিকেটের ময়দান থেকে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেই পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অরবিন্দ সিংহ লাভলিকে ৩.৯১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি হয়েছেন গৌতম।
প্রসঙ্গত, আক্রান্ত বলে দাবি করা মহম্মদ বাকের আলম নামে লোকটি অভিযোগনামায় পুলিশকে জানিয়েছেন, গুরুগ্রামের সদর বাজার এলাকার একটি গলিতে চার অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁকে ঘিরে টুপি পরা নিয়ে আপত্তি করে। তিনি বলেছেন, ওরা আমার মাথার টুপি খুলে নিয়ে চড় মারে, ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলতে বলে। ওদের নির্দেশ পালন করি। ওরা তখন আমায় ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বলে। আমি রাজি না হওয়ায় ওরা আমায় বেদম লাঠিপেটা করে।