নয়াদিল্লি: ‘হ্যাঙ্গিং বাই দ্য নেক টিল ডেথ।’
ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার যে প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, তাতে পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সংবিধানকে ‘দরদী’ ও ‘সংগঠিত’ পথনির্দেশক বই হিসেবে উল্লেখ করে, প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, দেশের আইনসভা এই আইনে পরিবর্তন করার বিষয়টি ভাবতেই পারে। যাতে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনও অপরাধীর মৃত্য ‘কষ্টে নয় শান্তিতে হয়’।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন মৃত্যুদণ্ডের পন্থা নিয়ে জনৈক আইনজীবী ঋষি মালহোত্রর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতে। এদিন এই মর্মে কেন্দ্রের থেক তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করার দাবি নিয়ে যে আবেদন জমা পড়েছে, তাতে আইন কমিশনের ১৮৭তম রিপোর্টকে হাতিয়ার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই রিপোর্টে ফাঁসি তুলো অন্য রাস্তা অবলম্বন করার সুপারিশ করা হয়েছিল।
এদিন মামলাকারী সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে উল্লেখ করে জানান, জীবনের অধিকার সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, একজন মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামীদের এমন মৃত্যু হওয়া দরকার যা কম কষ্টদায়ক হয়।
তিনি যোগ করেন, ফাঁসি নিঃসন্দেহে মৃত্যুর একটা তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা ও কষ্টদায়ক পন্থা। বিভিন্ন উন্নত দেশে ফাঁসির বদলে গুলি করে, মারণ ইঞ্জেকশন বা ইলেক্ট্রোকিউশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড সারা হয়। এই মর্মে তিনি ক্রিমিনাল প্রোসিডিওর কোডের ৩৫৪(৫) ধারার অবলুপ্তির হয়ে সওয়াল করেন।