কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সত্যপালের যুক্তি, ভগবান রাম ও হনুমানের যুগে এ দেশে কোনও জাতি ব্যবস্থা ছিল না। কেউ দলিত, বঞ্চিত, শোষিত ছিল না। বাল্মিকী রামায়ণ ও রামচরিতমানস পড়লেই এ কথা বোঝা যায়।
যোগী আদিত্যনাথ রাজস্থানের আলোয়ারে এক নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, বজরংবলী এমন একজন যিনি একই সঙ্গে দেবতা, বনবাসী, গির বাসী, দলিত ও বঞ্চিত। সেই বক্তব্য মানতে রাজি নন তাঁর দলের নেতারাই। বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ বলেছেন, কোনও দেবতার জাতপাত বিচার করা ঠিক নয়। যোগীর কথার সমালোচনা করেছেন উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েকও। তিনি বলেছেন, ভব্যভাবে নিজের বক্তব্য রাখা ও কাউকে আঘাত না করে নিজের ভাবনাচিন্তা সকলের সামনে রাখতে পারা গণতন্ত্রের পক্ষে জরুরি।
যোগী অবশ্য সমর্থনও পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় অনুসূচিত জনজাতি আয়োগের অধ্যক্ষ নন্দ কুমার সায় হনুমানকে তফশিলি তালিকাভুক্ত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, লোকে ভাবে, রামচন্দ্রের সেনায় হনুমান, ভালুক ও শকুন ছিল। আসলে তা না। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে শকুন ও হনুমান গোত্র রয়েছে। আসলে এঁরা হলেন আদিবাসী, ভগবান রামের যুদ্ধে এঁরাও সামিল হয়েছিলেন।