নয়াদিল্লি: পতিদার সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে স্পষ্ট অবস্থান নিতে বললেন হার্দিক পটেল। তাঁর হুঁশিয়ারি, ওই দিনের মধ্যে কংগ্রেস তাদের বক্তব্য পরিষ্কার করে না জানালে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে যেমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল, তেমনই পরিস্থতিতে পড়তে হবে ওদেরও! ট্যুইট বার্তায় হার্দিক বলেছেন, সংবিধান অনুসারে কীভাবে পতিদারদের সংরক্ষণ দেবে, সে ব্যাপারে ৩/১১/২০১৭ তারিখের মধ্যে স্পষ্ট জানাতে হবে কংগ্রেসকে, নয়তো ওদেরও সুরাতে অমিত শাহের মতো হাল হবে।

৩ নভেম্বর সন্ধ্যায়ই ভারাছায় এ কে রোডের জল ক্রান্তি ময়দানে রাহুল গাঁধীর সমাবেশের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। হার্দিক সেদিন সুরাতে থাকবেন। তাঁকে রাহুলের সভায় আনার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। তবে হার্দিক তার আগে শর্ত দিয়ে বসলেন, প্রথমে পতিদার সংরক্ষণের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করতে হবে সনিয়া গাঁধী, রাহুলের দলকে।





গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর পতিদার নেতাদের এক সংবর্ধনা সভা ভেস্তে গিয়েছিল হার্দিকের পতিদার অনামত আন্দোলন সমিতির (পাস) সদস্যদের তুমুল বিক্ষোভে। সেখানে ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। অমিত শাহের দিকে চেয়ার তুলে ছুঁড়ে মেরেছিল বিক্ষোভকারীরা। সে সময় হার্দিক পটেল জামিনের শর্ত অনুসারে উদয়পুরে ছিলেন। প্রবল বিক্ষোভের সামনে বিজেপি সভাপতিকে 'হার্দিক, হার্দিক', 'জয় সর্দার', 'জয় পতিদার' বলতে শোনা গিয়েছিল।

হার্দিকের ট্যুইট সম্পর্কে সুরাতের পাস-এর আহ্বায়ক ধার্মিক মালব্য বলেন, হার্দিকের বিবৃতির সঙ্গে আমরা পুরোপুরি একমত। কংগ্রেস পতিদার অধ্যুষিত এলাকায় রাহুল গাঁধীর সমাবেশের আয়োজন করছে। পতিদার ভোট পেতেই এই উদ্যোগ। আমরা অমিত শাহের জনসভায় আমাদের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছি। কংগ্রেস স্পষ্ট অবস্থান নিতে না পারলে রাহুল গাঁধীর জনসভায়ও বিক্ষোভ হবে।

পাস-এর আহ্বায়ক দীনেশ বাম্বানিয়া জানিয়েছেন, পতিদার সম্প্রদায় ও তাদের সংগঠন সংরক্ষণ প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থান দেখেই বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। কংগ্রেসের তরফে অবস্থান স্পষ্ট না হলে হার্দিক বা পাস-এর অন্য কারও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও জানান তিনি।

হার্দিক সম্প্রতি কংগ্রেসের গুজরাতের ভারপ্রাপ্ত নেতা অশোক গেহলতের সঙ্গে দেখা করে পতিদার সংরক্ষণ সহ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনকে সবচেয়ে বেশি টিকিট দেওয়া সহ একগুচ্ছ দাবি পেশ করেন।

কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত জানিয়েছে, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, ওবিসি-দের জন্য ৪৯ শতাংশ সংরক্ষণে হাত না দিয়েই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে ২০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার পক্ষপাতী তারা।