পাঁচকুলা: সাংসদ ও বিধায়কদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ কেন্দ্রকে নিতে বলল হরিয়ানা সরকার।
সম্প্রতি, রাজ্যে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ণয় করে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। রাজ্যের দাবি, ওই সিদ্ধান্ত বিপুলভাবে প্রশংসীত হয়েছে। এমনকী, রাজ্যের ওই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে আদালতও। এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, সাংসদ ও বিধায়ক পদে নির্বাচনে লড়াই করার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দিতে হবে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, হরিয়ানা বিধানসভায় একটি বিল পাশ হয়। যেখানে পঞ্চায়েতি রাজ নির্বাচনে লড়াই করা প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, আরও কিছু মাপকাঠি বলে দেওয়া হয়। যেমন প্রার্থীদের ঘরে স্থায়ী শৌচাগার থাকতে হবে। গত বছর, বিধানসভায় বিল পাশ করে একই নিয়মাবলি চালু করা হয় পুরভোটের ক্ষেত্রেও।
এদিকে, হরিয়ানা সরকারের এই প্রস্তাবকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী কংগ্রেস। দলের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডা জানান, সাংসদ-বিধায়কদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ হল দেশে ১০০ শতাংশ স্বাক্ষরতার হারের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া।
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। এখানে কম শিক্ষিত অথবা নিরক্ষর মানুষেরও নির্বাচনে লড়াই করার অধিকার রয়েছে। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত চাপানোর আগে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হওয়া উচিত দেশকে ১০০ শতাংশ স্বাক্ষর করা। একবার সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হলে, যে কোনও যোগ্যতার মাপকাঠি চালু করা যেতে পারে।