নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন নিয়ে দিল্লির বিভিন্ন প্রবেশ পথে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের এই বিক্ষোভের মধ্যেই সংলগ্ন হরিয়ানায় নগর নিগম নির্বাচনে ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন বিজেপি-জেজেপি জোট। ক্ষমতাসীন জোট সোনিপত ও আম্বালায় মেয়র পদে নির্বাচনে হেরে গিয়েছে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর পর এই নির্বাচনকে বিজেপি ও জেজেপি-র মর্যাদার লড়াই বলে মনে করা হচ্ছিল।
হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) স্থানীয় পুর নির্বাচনে তাদের গড় বলে পরিচিত হিসারের উকলানা ও রেওয়াড়ির ধারুহেরাতে স্থানীয় নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে।
গত রবিবার আম্বালা, পাঁচকুলা, সোনিপত, রেওয়াড়ির ধারুহেরা, রোহতকের সাম্পালা ও হিসারের উকলানায় স্থানীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। এদিন সকাল ৮ টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছিল।
কংগ্রেসে ১৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে সোনিপতে জিতেছে।নিখিল মদান হতে চলেছেন সোনিপতের প্রথম মেয়র। বিরোধী কংগ্রেসের দাবি, নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে ভোটের বাক্সে। এজন্যই বিজেপিকে হারতে হয়েছে।
আম্বালায় হরিয়ানা জনচেতনা পার্টির শক্তি রানি শর্মা ৮ হাজার ভোটে জিতেছেন। তিনিই মেয়র হতে চলেছেন। শক্তি রানি এইচজেপি প্রধান তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিনোদ শর্মার স্ত্রী। তাঁর ছেলে মনু শর্মাকেই জেসিকা লাল হত্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল।
এরমধ্যে পাঁচকুলায় স্থানীয় পুর নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছে। সেইসঙ্গে রেওয়াড়ি নগর পরিষদের প্রধানের পদেও জিতেছে বিজেপি। অন্যদিকে, সাম্পালা, ধারুহেরা, ও উকলানার নগরপালিকার সভাপতি পদে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
রোহতকের সাম্পলা নগর পালিকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজেপি প্রার্থী সোনুকে নির্দল প্রার্থী পূজা বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন। নির্দল প্রার্থী কংগ্রেসেরই নেতা। কিন্তু এখানে কংগ্রেস তাদের প্রতীকে লড়াই করেনি। উকলানা নগরপালিকার চেয়ারম্যান পদে নির্দল প্রার্থী বিজয় সাহু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি জেজেপি-বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন।