চণ্ডীগড়: রবিবার থেকে হরিয়ানায় নতুন করে জাঠ আন্দোলন শুরু হল। রোহতক জেলার জসিয়া গ্রাম থেকে শুরু হয়েছে ধর্ণা। রোহতক-পানিপথ সড়কের ধারে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থানে বসেছেন 'জাঠ আরক্ষণ সংঘর্ষ সমিতি'-র সদস্যরা।

 

এই সংগঠনের সভাপতি রামভগত মালিক বলেছেন, তাঁরা হরিয়ানার ১৫টি জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ধর্ণা শুরু করেছেন। সংরক্ষণ ছাড়াও আগের বারের আন্দোলনের সময় তাঁদের সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহার, আন্দোলনের সময় নিহতদের শহিদের মর্যাদা দেওয়া, তাঁদের পরিবারের এক জনের চাকরি এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

 

এই আন্দোলন ঘিরে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে কেউ উস্কানি বা গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সোনিপথ জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 
হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাম নিবাস বলেছেন, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে পাঁচ হাজারেরও বেশি আধাসামরিকবাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আরও ১৫ কোম্পানি আধাসেনা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও একটি সংগঠনই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পুলিশকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

 
এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাঠ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হরিয়ানা। আন্দোলনকারীরা মুনাক খাল দিয়ে দিল্লিতে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধও করেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্য সরকার সতর্ক। সোনিপথ জেলায় পশ্চিম যমুনা খালের পাহারায় আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক ও রেলপথ অবরোধ মুক্ত রাখার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 
হরিয়ানা পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ আকিল জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলায় ধর্ণার জন্য একটি করে স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানেই আন্দোলন চালাতে হবে। সাতটি সংবেদনশীল জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি রাস্তায় চলতে পারবেন না। গত কয়েকদিন ধরেই ওই জেলাগুলিতে আধাসেনা টহলদারি চালাচ্ছে। অশান্তি রোখার জন্য পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।