চণ্ডীগড়:  কেরিয়ারের শুরুতে আপনার কাছে কোন চাকরিটা বেশি লোভনীয়?  ই-রিটেলার অ্যামাজন-এর থেকে বছরে বাইশ লক্ষ টাকার চাকরির প্রস্তাব, না ভারত সরকারের অধীনে আমলার চাকরি?

ভারতের নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে জানা না থাকলেও, হরিয়ানার জিন্দের হিমাংশু জৈন তাঁর লক্ষ্যে কিন্তু স্থিরই ছিলেন। তাই নির্দ্বিধায় ই-রিটেলার অ্যামাজনের তরফে বছরে বাইশ লক্ষ টাকার প্যাকেজ এক নিমেষে ছেড়ে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মানীয় পরীক্ষা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্যে নিজেকে তৈরি করেন। শুধু তৈরিই হননি হিমাংশু, সিভিল সার্ভিসে সারা ভারতে তাঁর স্থান হয়েছে ৪৪।

হায়দবারাদের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করার পর, গুগল, অ্যামাজনের মতো সংস্থা থেকে চাকরির প্রস্তাব পান হিমাংশু। তিন মাসের জন্যে অ্যামাজনে ইন্টার্ন হিসেবে কাজও করেন তিনি, তারপর আসে চাকরির প্রস্তাব। কিন্তু অর্থের এই বিশাল হাতছানিকে কার্যত হেলায় উড়িয়ে দিয়ে সিভিল সার্ভিসের জন্যে নিজেকে তৈরি করা শুরু করেন হিমাংশু।

এরমধ্যে অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেন তিনি। তবে সবকিছুর মধ্যেই তাঁর মনটা পড়েছিল অন্য জায়গায়।তাই শৈশবের স্বপ্ন সফল করতে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন হিমাংশু।

দেশের সিস্টেমকে কীভাবে পরিবর্তন করতে পারেন একজন আমলা সে গল্প শুনেছিলেন ছোট থেকে। তাই সেই ইচ্ছেপূরণের লক্ষ্যেই ছুটতে শুরু করেন হরিয়ানার এই তরুণ। দিল্লি এসে নেন প্রস্তুতি। দুবার অসফল হলেও হাল ছাড়েন না তিনি। তাঁর জীবনের একটাই মন্ত্র ছিল নিজের স্বপ্ন যতদিন না সফল হচ্ছে, ততদিন তার পিছনে ছুটে চল। আপাতত স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে, এখন মুহূর্তটা উপভোগের সময়।