নয়াদিল্লি: হাথরসের ঘটনা নিয়ে শুনানিতে প্রশাসনের মনোভাব নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করে তিরস্কার ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের। শুনানিতে উপস্থিত আধিকারিকদের কাছে আদালত জানতে চায়, নির্যাতিতা কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ে হলে কি এভাবে মাঝরাতে অন্তিম সৎকার করা হত। এরইমধ্যে নির্যাতিতার পরিবার জানায়, তাঁদের সম্মতি ছাড়াই তাঁদের মেয়েকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ আদালত আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, তাঁদের পরিবারের মেয়ে হলে কি তাঁরা এমনটা হতে দিতেন।
নির্যাতিতার পরিবার বলেছেন, অন্তিম সংস্কারের পর পরিবারের কেউ ছিল না। শুধু কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে সেখানে গোবর রেখে দেওয়া হয়। কোর্টে জেলাশাসকের সেই বক্তব্যেরও উল্লেখ করা হয়, যেখানে তিনি নির্যাতিতার করোনায় মৃত্যু না হওয়ার কথা বলেছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের তদন্ত রিপোর্ট গোপন রাখার দাবি জানিয়েছেন। পরিবার তাঁদের নিরাপত্তার আশঙ্কার কথাও আদালতে জানান। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগে থেকেই নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ নভেম্বর। সেইদিন নির্যাতিতার পরিবারে যে সব প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন, সেগুলি সম্পর্কে জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে। সেইসঙ্গে যে কথাগুলি আদালতে তারা রেখেছে, সেগুলি নির্যাতিতার পরিবারকে হলফনামা পেশ করে জানাতে হবে।