বেজিং: অরুণাচল প্রদেশের ৬টি জায়গার নামকরণ করার তাদের আইনি অধিকার রয়েছে। মোম্বা প্রজাতি ও তিব্বতি ‘চিনা’রা সেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করেন। তাই ওইসব জায়গাকে তাঁরা যে নামে ডাকেন, সে সব নামই জনগণকে জানানো হয়েছে। ভারতীয় এলাকার এভাবে চিনা নামকরণ পুরোপুরি বেআইনি ও গাজোয়ারি বলে ভারত মন্তব্য করায় এমনটাই দাবি করল বেজিং।


চিনা বিদেশ মন্ত্রক মন্তব্য করেছে, ভারত-চিন সীমান্ত সম্পর্কে চিনের যে অবস্থান, তা স্বচ্ছ ও ধারাবাহিক। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম আবার হুমকি দিয়েছে, দলাই লামা কার্ড বারবার ব্যবহার করলে ভারতকে তার বড় মূল্য চোকাতে হবে।

ভারত অবশ্য গতকালই জানিয়ে দিয়েছে, চিনের এভাবে অরুণাচলের জায়গার নামকরণকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না তারা। প্রতিবেশীর এলাকাভুক্ত অঞ্চলের ইচ্ছেমত নামকরণ করলেই সেই জমির ওপর বেআইনি দাবি আইনি হয়ে যায় না।

চিনা সংবাদমাধ্যমের আরও অভিযোগ, ভারতের চাপেই নেপাল চিনের সঙ্গে তাদের প্রথম সামরিক মহড়ার ব্যাপ্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে সেনা মহড়া হবে। কিন্তু ভারতের চাপে সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনে কাঠমান্ডু। জায়গাও পরিবর্তিত হয়ে নির্ধারিত হয় একটি সৈনিক স্কুল।

চিনপন্থী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর থেকেই নেপাল নিয়ে উদ্বিগ্ন চিন। বিশেষ করে নয়া প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড যেভাবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের উন্নতির পথে হেঁটেছেন, তাতে অত্যন্ত বিরক্ত তারা।