প্রসঙ্গত, ওই মহিলা তাঁর এবং তাঁর দুই সন্তানের খোরপোশ বাবদ স্বামীর কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন লক্ষ টাকা চেয়ে ট্রায়াল কোর্টে মামলা করেন। শুধু তাই নয়, মামলা চালানোর জন্য দাবি করেন ১ লক্ষ টাকা। সেখানে তাঁর এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ট্রায়াল কোর্ট জানায়, যে মহিলা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মতো পেশায় যুক্ত, তিনি নিজের পেট নিজেই চালিয়ে নিতে পারবেন। বিশেষ করে ওই মহিলা উচ্চ শিক্ষিত। ২০০৩ থেকে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে তিনি এইমস্-এ চাকুরিরতা। সেক্ষেত্রে খোরপোশের টাকা তিনি দাবি করতে পারেন না।
ওই মহিলার পিটিশন অনুযায়ী, ২০০৫ সালে দিল্লির বাসিন্দা পেশায় এক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ে সুখের হয় না। বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মহিলার দাবি, তাঁর আয় মাসে ৭,০০০ টাকা। কিন্তু তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ সেই কথা বলছে না। তিনি যতদিন ধরে প্র্যাকটিস করছেন, তাতে এতদিনে এই সামান্য পরিমান অর্থ তাঁর আয়, এ হতে পারে না বলে জানায় কোর্ট। কোর্ট জানায়, তাঁর সন্তানদের দায়িত্ব এবং সেই বাবদ খরচ বহন করতে বাধ্য তাঁর স্বামী। কিন্তু মহিলার নয়। ওই মহিলার স্বামীও বাচ্চাদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছেন।