চেন্নাই: কোন পরিস্থিতিতে, কী থেকে মারা গেলেন জয়ললিতা, খতিয়ে দেখতে তথ্যানুসন্ধানী দল বা তদন্ত কমিশন গড়ার নির্দেশ চেয়ে পেশ হওয়া জনস্বার্থ পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর দেহ সমাধি থেকে তুলে পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন। পি এ যোশেফ নামে এক এআইএডিএমকে কর্মীর ওই পিটিশনের শুনানির সময় ২ বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি বৈদ্যনাথন বলেন, মৃত্যুর পর প্রশ্ন তোলাই যায়। আমার নিজেরই সংশয় আছে। এই বলা হল, উনি হাঁটছেন, পরে জানা গেল, হাসপাতাল থেকে বেরবেন। তারপর কী হল, দেখাই গেল। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী এমজিআরের বেলায় কিন্তু ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল।


এআইএডিএমকে কর্মীর পিটিশনে ২২ সেপ্টেম্বর জয়ললিতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে পরপর ঘটনাবলীর উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, নেত্রীর মৃত্যুর আগে তাঁকে ঘিরে ‘চরম গোপনীয়তার আবরণ’ তৈরি হওয়ায় সংশয় ছড়িয়েছে। যেসব  প্রশ্ন উঠছে, সেগুলি খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে কমিশন হোক।


রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল মুথুকুমারস্বামী অবশ্য দাবি করেন, কোথাও কোনও রহস্য, সংশয়ের অবকাশই নেই আম্মার মৃত্যু নিয়ে। বিচারপতি বৈদ্যনাথন তাঁকে বলেন, আপনি এ কথা বলছেন। কিন্তু বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। কী হয়েছে, তা জনসাধারণের জানা উচিত। তিনি এও বলেন, আত্মীয়স্বজনদেরও হাসপাতালে জয়ললিতাকে দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁরা এই আদালতেও নেই। আমার নিজের মত, সংশয় থাকলে মৃতের দেহ তুলে এনে পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারি। উনি যখন জীবিত ছিলেন, আপনারা কিছু বলেননি।


কেন্দ্রের কৌঁসুলি জে মদনগোপাল রাওয়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব জানেন আপনারা। কিন্তু কিছুই রিপোর্ট করেননি আপনারা, চুপ করে ছিলেন। কেন করেননি, আপনারাই ভাল জানেন।


বেঞ্চ বলেছে, সংবাদপত্রেও বলা হল, মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ হচ্ছেন। খাচ্ছেন, দাচ্ছেন, কাগজপত্রে সই, বৈঠকও নাকি করছেন। আচমকা শোনা গেল, মারা গিয়েছেন।


পরবর্তী শুনানি ৯ জানুয়ারি।