ইলাহাবাদ: বুলন্দশহর গণধর্ষণকাণ্ডে ধাক্কা খেল উত্তরপ্রদেশ সরকার। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

গত ২৯ জুলাই ঘটা ওই নারকীয় ঘটনার নিন্দা করে আদালত জানিয়ে দেয় তারা পুলিশি তদন্ত নিয়ে খুশি নয়। এই প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

গতকালই মামলার তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট একটি মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় পুলিশ। তারপরেই এদিন প্রধান বিচারপতি ডি বি ভোসলে এবং বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

আদালত জানিয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং যা তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক নয়। এই মর্মে এই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তা আদালতে পেশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে, দুই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট, সাক্ষীদের বয়ানও পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন স্টেটাস রিপোর্টে সামাজিক প্রেক্ষাপট, অতীত অপরাধের খতিয়ান এবং রাজনৈতিক সমীকরণের যে ব্যাখ্যা পুলিশ দিয়েছে, তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এখানেই শেষ নয়। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই তদন্তের ওপর নজর রাখবে।

বুলন্দশহরের কাছে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ করল ডাকাত-দল। নির্যাতিতা মা ও মেয়ে পরিবারের অন্য চার সদস্যের সঙ্গে গাড়িতে করে দিল্লি-কানপুর ৯১ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে নয়ডা থেকে শাহজাহানপুর যাচ্ছিলেন। রাতে তাঁরা রওনা দেন। পথে দোস্তপুর গ্রামের কাছে রাস্তার ধারে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা ডাকাতরা গাড়ি লক্ষ্য করে লোহার রড ছোঁড়ে।

চালক গাড়ি থামাতেই ঘিরে ফেলে ডাকাত দল। বন্দুক দেখিয়ে তারা চালককে গাড়ি জাতীয় সড়ক থেকে  মাঠে নামাতে বাধ্য করে। ৩৫ বছরের মা ও তাঁর ১৪ বছরের কিশোরীকে মেয়েকে তিনঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে ডাকাতরা। পরে তাঁদের কাছ থেকে ১১ হাজার টাকা ও কিছু গয়না ছিনিয়ে অন্ধকারে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্ত সেলিম বাওয়ারিয়া সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। মামলার আগামী শুনানি ১৭ আগস্ট।