নয়াদিল্লি:  দিল্লির ২১ বছরের তরুণের প্রতারণার অভিনব কৌশল। অনলাইনে ১৬৬ টি দামী মোবাইল অর্ডার দিয়ে পরে খালি বাক্স পেয়েছেন জানিয়েছেন অর্থ ফেরতের দাবি জানাতেন তিনি। এভাবে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করে গ্রেফতার শিবম চোপড়া নামে ওই তরুণ।
পুলিশ জানিয়েছে, ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন সবকিছু বুঝে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর আগে ওই তরুণ এপ্রিল ও মে মাসের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
দিল্লির রোহিনীর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টের কোর্স করার পর বেশ কয়েকটি চাকরিকে যোগ দেন শিবম। কিন্তু চাকরি ধরে রাখার মতো যোগ্যতা তার ছিল না। তাই শীঘ্রই কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই ই-কমার্স সংস্থায় পণ্যের অর্ডার দিয়ে প্রতারণার ভাবনা তার মাথায় আসে। পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমে দুটি ফোন অর্ডার দেয়। এরপর ফোন পাননি জানিয়ে টাকা ফেরতের দাবি জানান এবং পেয়েও যান।
এর পরবর্তী দুই মাস এই প্রতারণাকেই নিজের পেশায় পরিণত করে ফেলেন শিবম। অ্যাপল,স্যামসাং ও ওয়ানপ্লাস মোবাইলের অর্ডার দিতে থাকেন।
শিবম ফোনগুলি অনলাইনে বা চোরাই পণ্যের বাজারে বিক্রি করে দিতেন।
এই প্রতারণার কাজে শিবমকে সাহায্য করতেন তাঁর বাড়ি সংলগ্ন একটি ছোট মোবাইল দোকানের মালিক সচিন জৈন (৩৮)। তিনি শিবমকে ১৪১ টি প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ডের যোগান দেন। এরজন্য প্রতি সিমকার্ড পিছু ১৫০ টাকা করে নিতেন জৈন। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সিম কার্ডগুলির  সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন নামে ভুল ঠিকানায় ফোনের অর্ডার দিতেন শিবম।
অ্যামাজনের ডেলিভারি অ্যাসোসিয়েট ওই ঠিকানা খুঁজে পেতেন না তখন তিনি স্বাভাবিকভাবেই অ্যাকাউন্টে নথিভূক্ত ফোন নম্বরে ফোন করতেন। এরপর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ত্রি নগর একালার বাসিন্দা শিবম বাড়ির আশেপাশের একটা এলাকায় ডেলিভারি অ্যাসোসিয়েটকে ডেকে নিয়ে পণ্যটি নিতেন। এরপর শিবম অভিযোগ করতেন যে তিনি যে বাক্স পেয়েছেন, তা খালি। এজন্য অর্থ ফেরত পেয়ে যেতেন তিনি।
পদস্থ পুলিশ আধিকারিক মিলিন্দ মহাদেও দুম্বেরে জানিয়েছেন, এভাবে ১৬৬ টি অর্ডারের ক্ষেত্রে একই কৌশল অবলম্বন করেন শিবম।
শিবমের কাছ থেকে ১৯ টি মোবাইল ফোন, নগদ ১২ লক্ষ টাকা, ব্যাঙ্কের কয়েকটি পাসবুক ও চেক উদ্ধার করা হয়েছে।কয়েক মাসের চেষ্টায় পুলিশ শিবমের খোঁজ পায়।