নয়াদিল্লি: সামান্য কোভিড ১৯ উপসর্গ রয়েছে বা সংক্রমণ সংক্রান্ত লক্ষ্মণের আগের পর্যায়ে রয়েছে, এমন আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনের জন্য নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে যাদের সামান্য উপসর্গ রয়েছে, তাদের সংখ্যা গুরুতর অসুস্থদের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
বর্তমানে দেশে আক্রান্ত বলে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে অর্থাত পরীক্ষার ফল আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে এবং যাদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের হাসপাতালের মধ্যে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এই রোগীদের খুবই সামান্য বা সামান্য, মাঝারি বা গুরুতর অসুস্থ হিসেহে চিহ্নিত করে সেইমতো কোভিড কেয়ার সেন্টার, ডেডিকেটেড কোভিড হেল্থ সেন্টার বা ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
এখন যাদের উপসর্গ সামান্য, প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকলে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারবে। নির্দেশিকা অনুসারে, আক্রান্তদের কারা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবে, তা লক্ষ্মণ বিচার করে স্থির করবেন চিকিত্সাকারী মেডিক্যাল অফিসার। আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ খুবই সামান্য ও উপসর্গের আগের পর্যায়ে থাকলে এক্ষেত্রে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা যাবে।
আক্রান্তের খেয়াল রাখার জন্য সর্বক্ষণের কারুর উপস্থিতি সহ হোম আইসোলেশনে থাকতে হলে কী কী থাকা আবশ্যক, তাও নির্দেশিকায় বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য উপস্থিত ওই ব্যক্তি হাসাপাতালের সঙ্গে সংযোগ-সেতু হিসেবে কাজ করবেন।



অন্যান্য নির্দেশের মধ্যে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা ও সর্বদা তা সক্রিয় রাখা, নজরদারি দলকে অবহিত রাখাতে জেলার তত্ত্বাবধায়ক অফিসারের কাছে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য জানানো এবং সেল্ফ আইসোলেশনের অঙ্গীকার গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়াও রোগীদের হোম কোয়ারেন্টিনের ক্ষেত্রে মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে পরিবারে বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বারেবারেই ভালোভাবে হাত ধোয়া ও অন্যান্য নির্দেশ।
কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগীকে অবিলম্বে চিকিত্সকেদর তত্ত্বাবধানে আসতে হবে।