শেষ পর্যন্ত তিনজনেরই মৃত্যুর খবর এসেছে। এঁরা হলেন হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও এক স্থানীয় ব্যক্তি। হেলিকপ্টারটি কেবলে জড়িয়ে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অশোক কুমার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটি হেরিটেজ এভিয়েশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার। জেলার ৭০ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গ্রামগুলিতে ত্রাণ ও উদ্ধারে নামানো হেলিকপ্টারগুলির মধ্যে ছিল সেটি।
প্রসঙ্গত, রবিবার উত্তরকাশীর মোরি এলাকায় প্রবল বর্ষণে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, প্রায় আধ ডজন বাসিন্দার খোঁজ নেই বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে, তাঁদের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়ে প্রার্থনা করেছেন, যাতে তাঁরা এই অপূরণীয় শোক, ক্ষতি সামলানোর মানসিক শক্তি অর্জন করতে পারেন।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করতে অফিসারদের একটি টিম নিয়োগ করল অসামরিক উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। জনৈক পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) দু্র্ঘটনার তদন্ত করতে পারে।
গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে উত্তরকাশীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যার আর্থিক পরিমান ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এই জেলাই। গতকালই মোরির পরিস্থিতি দেখতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। জেলার আরাকোট, মাকোদি, তিকোচি, সানাইল সহ প্রায় ১২টি গ্রামে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে অতিবৃষ্টি। প্রায় ২০টি বাড়ি ভেসে গিয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন বলে খবর পেয়ে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। গোটা উত্তরাখন্ড রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে ওঠছ নদী, লেকের জল ভাসিয়ে দিয়েছে পরপর গ্রাম, নগর। ত্রাণ, উদ্ধারে নামাতে হয়েছে হেলিকপ্টার।