পুণে: রাজশ্রী রাজেন্দ্র দেশমুখ, পড়াশোনা করেছিলেন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। কিন্তু স্বেচ্ছায় তিনি কলেজে অধ্যাপনার মোটা মাইনের চাকরিকে বিদায় জানিয়ে এখন পুণের রাস্তায় উবের চালাচ্ছেন। কিন্তু এমন পেশা বাছলেন কেন ওই মহিলা জানেন?


রাজশ্রীর কথায় নিজের স্বাধীনতা, আত্মবিশ্বাস, দুঃসাহসিক কাজ করার ইচ্ছেকে স্বীকৃতি দিতেই তাঁর এই পেশা বদল। তিনি মনে করেন মাঝেমধ্যে জীবনে মন যেটা চায় সেটাই করা উচিৎ সকলের। এছাড়া সমাজে মহিলাদের কাজ করা নিয়ে যে অলিখিত নিয়ম আছে, সেটাও ভেঙে দিতে চেয়েছেন এই মহিলা। বাঁধাধরা নিয়মকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে নতুন কিছু করার নামইতো জীবন।

রাজশ্রী, বর্তমানে উবের চালাচ্ছেন পরিস্থিতির চাপে পড়ে বা চাকরি না পেয়ে নয়। তিনি নিজে এই পেশাকে নির্বাচন করে নিয়েছেন।

তবে এই পেশায় আসার আগে ওই মহিলা ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমটেক পাশ করে বাজাজ কলেজে অধ্যাপনা করছিলেন। তারপর তিনি চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেন। আর গাড়ি চালানো ছিল তাঁর শখ। সেই শখকেই তারপর পেশায় বদলে নেন তিনি। আজ নিজের ব্যবসার টাকা দিয়েই একটি গাড়ি কেনেন ওই মহিলা। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় ৬১ হাজার টাকা, একজন অধ্যাপকের চেয়ে অনেক বেশি।

তবে অধ্যাপনা ছেড়ে এমন পেশায় আসার আগে তিনি নিশ্চয়ই তাঁর বাবা-মায়ের থেকে বাধা পেয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গে রাজশ্রী জানিয়েছেন, তাঁর পরিবার মনে করে, যে কাজকে ভালবেসে, আনন্দ করে করা যাবে, সেই কাজই সকলের করা উচিৎ। তাই এই কাজ করতে তাঁকে সেখান থেকে কোনও বাধা পেতেই হয়নি।

তিনি প্রত্যেক মহিলাকে তাই আজ নারী দিবসে বার্তা দিতে চেয়েছেন সমাজের লিখিত নিয়ম ভেঙে নিজের মন যেটা চাইছে সেটাই করুন। আর প্রত্যেকের যে ধারনা আছে, মহিলারা ভাল গাড়ি চালাতে পারেন না, সেই ভাবনার পরিবর্তন ঘটাতেও তিনি বিশেষ ভাবে উদ্যোগী।