নয়াদিল্লি: হিন্দুরা কখনও অন্য ধর্মের মানুষকে ধর্মান্তকরণ ঘটিয়ে হিন্দু করে না বলে দাবি করলেন কিরেন রিজিজু, আর সেজন্যই ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে বলে তাঁর অভিমত। তিনি বলেছেন, উল্টোদিকে বাড়ছে সংখ্যালঘুরা, যা আশপাশের অন্য কয়েকটি দেশে ঘটছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য বিতর্কে ইন্ধন দিয়েছে। প্রসঙ্গত, রিজিজু যে রাজ্যের বিজেপি নেতা, সেই অরুণাচল প্রদেশকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার হিন্দু রাজ্য বানাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। তারই জবাব দিয়েছেন রিজিজু। দফায় দফায় ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, অরুণাচলের বাসিন্দারা পরস্পরের সঙ্গে সৌহার্দ্যের পরিবেশে বসবাস করছেন। ভারত ধর্মনিরপক্ষে দেশ। সব ধর্ম এখানে সমান মর্যাদা পায়। সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করেন। কেন কংগ্রেস এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছে। এ ধরনের উসকানিমূলক অভিযোগ করা উচিত নয়।
যদিও জন্মসূত্রে যিনি বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে চলেন, সেই রিজিজুর মন্তব্যে বিস্মিত অনেকে। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসের মন্তব্য, উনি যেন ভুলে না যান, উনি শুধু হিন্দুদের নয়, গোটা ভারতবর্ষের মন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে নেওয়া শপথের কথা রিজিজুকে স্মরণ করতে বলেছেন তিনি। ওয়েইসির ট্যুইট, ভারতের সংখ্যালঘুদের অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন কী! এ দেশের সংবিধানে ওদের অধিকার সুরক্ষিত।
প্রসঙ্গত, ২০১১র জনগণনা অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৯.৮০ শতাংশ হিন্দু, মুসলিম ১৪.২৩ শতাংশ। খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও জৈন যথাক্রমে ২.৩০, ১.৭২, ০.৭০ ও ০.৩৭ শতাংশ। ২০০১ সালের সেনসাসে উঠে এসেছিল, এ দেশে হিন্দুর সংখ্যা ৮০.৫ শতাংশ। মুসলিমরা ১৩.৪ শতাংশ।