নয়াদিল্লি: ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে যে সব হিন্দুরা পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আশ্রয় পেতে আসছেন, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল নয়াদিল্লি। এ দেশে এসে আর যাতে তাঁদের বেআইনি অভিবাসী তকমা না পেতে হয়, সে জন্য ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর ফলে আইনিভাবেই ওই হিন্দু জনগোষ্ঠী এ দেশে থাকতে পারবেন, করতে পারবেন নাগরিকত্বের আবেদনও। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন ওই দুই প্রতিবেশী দেশে বসবাসরত দু’লাখের কাছাকাছি হিন্দু, যাঁরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে থাকতে বাধ্য হন। নির্বিচার হিংসা, ধর্ষণ, হত্যার মত অপরাধ ছাড়াও যাঁরা ব্লাসফেমি আইনের সবথেকে বেশি শিকার।
২০১৪-র লোকসভা ভোটের ইস্তাহারেই বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সরকারে এলে পাক- বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের প্রয়োজনে এ দেশে এসে মাথা উঁচু করে বাঁচার সুযোগ দেবে তারা। ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। এ সবের মধ্যে যেমন রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ভিসার সুযোগ, যতদিন তাঁরা নাগরিকত্ব না পাচ্ছেন। একইভাবে তাঁদের আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্যান কার্ড দেওয়ার প্রস্তাবও বিবেচনা করা হচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী অনুযায়ী ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বরকে ‘কাট অফ ডেট’ হিসেবে ধার্য করা হবে। এই সময় থেকে যে আশ্রয়প্রার্থীরা এ দেশে আসবেন, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। আর তাঁদের বেআইনি অভিবাসী আখ্যা দেওয়া হবে না। পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও ফরেনার্স অ্যাক্টেও সংশোধনী আনার কথা ভাবা হচ্ছে।