নয়াদিল্লি: ২০১১-র সন্ত্রাসবাদে টাকাপয়সা ঢালার ব্যাপারে এক মামলায় ৬ জনকে জেরা করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এদের মধ্যে আছেন হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের বড় ছেলে শাকিল ইউসুফ। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কাজ করেন তিনি। সালাউদ্দিনের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন, এহেন সন্দেহে কাঠগড়ায় ওঠা শাকিল ও বাকিরা এদিন এজেন্সিতে হাজিরা দেন।
এনআইএ কর্তারা জানিয়েছেন, আমেরিকার একটি কোম্পানির মাধ্যমে বাবার কাছ থেকে অর্থ পেতেন শাকিল। এ ব্যাপারে তাঁকে জেরা করতে চান তাঁরা। এনআইএ-র আরও দাবি, আইজাজ আহমেদ ভট্ট নামে সৌদি আরবে বসে থাকা এক হাওয়ালা অপারেটরের ভারতে একাধিক লোকের সঙ্গে যোগ ছিল। তাদেরই একজন শাকিল। বাইরে থেকে অর্থ হস্তান্তরের ব্যাপারে সংকেত বা কোড পাওয়ার জন্য টেলিফোনে আইজাজের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শাকিলকে ফের জেরা করা হবে বলে খবর। ট
পাকিস্তান থেকে দিল্লি হয়ে হাওয়ালা চ্যানেলে জম্মু ও কাশ্মীরে অর্থ পাঠানো হয়েছে, যা সেখানে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। এ ব্যাপারেই ২০১১ সালের এপ্রিলে মামলা দায়ের করে তদন্ত সংস্থাটি।
৬ জনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২টি চার্জশিট পেশ করেছে তারা। ৬ জনের মধ্যে আছে পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী জি এম ভট্ট। বাকিরা হল মহম্মদ সিদ্দিক গনাই, গুলাম জিলানি লিলু ও ফারুক আহমেদ দাগ্গা। চারজনই রয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। বাকি দুজন মহম্মদ মকবুল পন্ডিত, ভাটের নামেও চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। কিন্তু তারা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসও আছে।
প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিনকে গত বছরের জুনে বিশেষ তকমাপ্রাপ্ত বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে মার্কিন বিদেশমন্ত্রক। হিজবুল বাদে তিনি কাশ্মীরে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির জোট ইউনাইটেড জেহাদ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তাঁর আরেক ছেলে শাহিদকেও এই মামলার ব্যাপারে গত অক্টোবরে গ্রেফতার করে এনআইএ।