বালাসোর: দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণায় বড়সড় সাফল্য পেল ভারত। বুধবার ওড়িশায় সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সুপারসনিক ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের। স্বল্প-উচ্চতায় যে কোনও শত্রু-লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
দীর্ঘদিন ঘরেই শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা থেকে দেশের আকাশসীমাকে সুরক্ষিত করতে বহুস্তরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (মাল্টি-লেয়ারড ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স বা বিএমডি) তৈরি করছে ভারত।
সেই লক্ষ্যেই এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হল। বস্তুত, গত একমাসে এই নিয়ে দুবার এই বিশেষ মিসাইলের পরীক্ষা করল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা বা ডিআরডিও।
জানা গিয়েছে, প্রথমে একটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘শত্রু-মিসাইল’ বানিয়ে চাঁদিপুরে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (আইটিআর) তিন নম্বর লঞ্চপ্যাড থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
https://twitter.com/prasarbharati/status/836819792208216064
ডিআরডিও সূত্রে খবর, শত্রু-হামলার হদিস পেয়েই ঠিক চার মিনিটের মধ্যে হুইলার দ্বীপ (অধূনা আব্দুল কালাম দ্বীপ) থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে যায় অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স (এএডি) ‘অশ্বিন’ ক্ষেপণাস্ত্র।
ডিআরডিও-র তরফে জানানো হয়েছে, মাক ৪.৫ (শব্দের চেয়ে প্রায় সাড়ে চারগুণ) গতিতে উড়ে মাঝ-আকাশেই লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করেছে এএডি। তাদের দাবি, এদিনের পরীক্ষা চূড়ান্ত সফল। জানা গিয়েছে, এএডি ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি, দূর-পাল্লার ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের (পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিকল বা পিডিভি) পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার ওপরে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করেছিল।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইজরায়েলের পর ভারত হল বিশ্বের চতুর্থ দেশ যাদের হাতে বহুস্তরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।