প্রসঙ্গত, গত ২৫ অগাস্ট পাঁচকুলায় সংঘর্ষে মদত দেওয়ার জন্যে যে ৪৩জন ডেরা অনুগামী পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষে নাম ছিল হানির। একমাসের ওপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন হানিপ্রীত। অবশেষে গত ৩ অক্টোবর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, ডেরার যে পাঁচ সমর্থক রাকেশ, চামকৌর সিংহ, ড্যান সিংহ, দিলাওয়ার এবং সুরিন্দর সিংহ হানির পরিকল্পনার বিষয়ে পুলিশকে গোপনে জানিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান ভিডিওগ্রাফ করে রাখা হয়েছে। এমনকি ডেরার সমস্ত অর্থনৈতিক আদানপ্রদান দেখভালের দায়িত্বেও ছিলেন হানি।
তবে ১৭ অগাস্টের বৈঠকে শুধু সংঘর্ষের পরিকল্পনা নয়, পুলিশ হেফাজত থেকে রাম রহিমকে কীভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা যায়, সেই ছকও কষা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই ডেরা অনুগামীরা। সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাম রহিমের ব্যক্তিগত সচিব রাকেশ কুমার আরোরা এবং ডেরার প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক প্রীতম। পরে বিশেষ তদন্তকারী দলের অফিসাররা তাঁদের গ্রেফতার করেন।
হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, হানিপ্রীতের ওপর ন্যারকো পরীক্ষাও করা হতে পারে। কারণ ক্রমাগত জেরার মুখেও কার্যত নিজের বয়ানে অটল থাকছেন পাপা কি পরী। এমনকি তিনি জেরায় দাবি করেছেন, ডেরার টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। উল্টে একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন হানিপ্রীত। যদিও তাঁর সেই দাবি মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশ কমিশনার এ.এস চাওলা জানিয়েছেন হানিপ্রীতকে অবশ্যই জেরা করা হবে। বুধবারই পাঁচকুলার এক আদালতে হানিপ্রীতকে পেশ করা হলে, তাঁকে ছ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।