পাঁচকুলা: বাড়ি বাড়ি পিৎজা ডেলিভারি করেন তাঁরা। রাস্তায় হঠাৎ দেখা এক ৫ বছরের শিশুর সঙ্গে, বেশ কিছুদিন আগে যার বাড়িতে তাঁরা পিৎজা পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই এক অপহরণ রুখে দিলেন হরিয়ানার জিরাকপুরের ২ পিৎজা ডেলিভারি বয়।

মঙ্গলবার রাতে সেক্টর ২০-র বাজারে ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে আইসক্রিম কিনতে যান সস্ত্রীক এক ইনফোসিস কর্মী। বাচ্চাটি পিছনের আসনে ছিল। রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে ভদ্রলোক ফল কিনতে নেমে যান। তখন সামনের আসনে বসা তাঁর স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকায় এক দুষ্কৃতী। ওই মহিলা এক লাফে গাড়ি থেকে নেমে যান, মনে ছিল না, ছেলে রয়েছে পিছনের আসনে। তারপরেই ছেলে সুদ্ধ গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী।

জিরাকপুরের ভিআইপি রোডের ওপর এক পিৎজা আউটলেটে কর্মরত হরপ্রীত সিংহ ও সুরিন্দর সিংহ দোকান বন্ধ করছিলেন। তখন এক ক্রেতা তাঁদের জানান, বাইরে কেউ গাড়িতে একটি বাচ্চা ফেলে রেখে গিয়েছে, কান্নাকাটি করছে শিশুটি। তাঁরা ছেলেটিকে ভেতরে নিয়ে আসেন কিন্তু নিজের পরিচয় দিতে পারেনি সে।

তখন তারা দেখতে পান, ছেলেটির হাতে তার বাবার ব্যাঙ্কের পাসবই রয়েছে, তাতে তাঁর ফোন নম্বর লেখা। সেই নম্বরে ফোন করে কারও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ওই দুই যুবক তাঁদের ডেটাবেসে নম্বরটি সার্চ করেন। তাতে দেখেন, পাঁচকুলার সেক্টর ২০-তে তাঁদের আর একটি আউটলেটে ওই নম্বর থেকে পিৎজার অর্ডার এসেছিল একবার।

তাঁরা ছেলেটিকে নিয়ে পৌঁছে যান সেক্টর ২০-র পুলিশ স্টেশনে। সৌভাগ্যক্রমে ছেলেটির বাবা মা-ও তখন সেখানেই বসেছিলেন।

হরপ্রীত ও সুরিন্দর জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি পিৎজা ডেলিভারি করা তাঁদের পেশা। কিন্তু নিজেদের পেশাই যে তাঁদের এমন এক অভিজ্ঞতার শরিক করবে, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি।