নয়াদিল্লি: দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারে বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কড়া টক্করের মুখে ফেলে দিয়েছে যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। অপেক্ষাকৃত স্বল্প দামে নতুন নতুন পণ্য এনে বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলছে পতঞ্জলি। এই অবস্থায় নতুন এই চ্যালেঞ্জারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলি।  দেশের বৃহত্তম ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস (এফএমসিজি) কোম্পানি হিন্দুস্তান ইউনিলিভার (এইচইউএল) কড়া টক্কর ছুঁড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। শ্যাম্পু থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পার্সোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড রয়েছে এইচইউএল-এর। এবার ভেষজ পণ্য বাজারে এনে রামদেবের পতঞ্জলির সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নামতে চলেছে কোম্পানি। দেশে ভেষজ-প্রাকৃতিক পণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে পতঞ্জলি। এই বাজার দখলে এবার লিভার আয়ুসের পুনরুজ্জীবন ঘটাচ্ছে এইচইউএল ।এর আওতায় ৩০ থেকে ১৩০ টাকা মূল্যের একাধিক পার্সোনাল কেয়ার পণ্য বাজারে আসবে। অপেক্ষাকৃত স্বলদামের এই পণ্যসম্ভার সরাসরি পতঞ্জলির পণ্যের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে।


ফেস প্যাক, ফেস ওয়াশ, শীতের ক্রিম থেকে শেভিং জেল, বডি লোশন, লিপ বামের মতো বিভিন্ন পণ্য রয়েছে পতঞ্জলির। রামদেবের বক্তব্য অনুযায়ী, পতঞ্জলির পণ্যের যোগান বাজারের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্পাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে রামদেব জানিয়েছিলেন ২০১৫-১৬ তে পতঞ্জলির বিক্রির পরিমাণ ৫০০০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে।

এইচইউএল তাদের আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ড লিভার আয়ুসের পুরুজ্জীবন ঘটানোর পরিকল্পনা বেশ কয়েকমাস আগেই নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০০১-এ এই ব্র্যান্ড চালু করেছিল এইচইউএল। কিন্তু গত দশকে বাজারে একেবারে সাড়া ফেলতে পারেনি লিভার আয়ুস। কিন্তু পতঞ্জলির পণ্যের সাফল্য ও বাজারে ভেষজ-প্রাকৃতিক পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি গত কয়েক বছরে আমূল বদলে গিয়েছে। একটি সমীক্ষা অনুসারে এই পণ্যের চাহিদা ২০১৬-র ৪৩,৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০-তে হবে ৫১,৭০০ কোটি টাকা। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোম্পানি এই বাজার ধরার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগে সামিল হচ্ছে এইচইউএল।