লখনউ: প্রচণ্ড দরিদ্র পরিবার। এতটাই গরিব যে সকলে মিলে আত্মহত্যার কথা ভাবছিল। তাদেরই ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো ১৭ বছরের মেয়েটি। কোনও শিক্ষকের সাহায্য ছাড়াই যে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বিজ্ঞানে ৯৫ শতাংশ পেয়েছে।

কিন্তু ১৭ বছরের কাজল ঝার আইআইটির স্বপ্ন চুরমার হতে দেননি তার গ্রাম গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের বাসিন্দারা। অর্থাভাবে পড়া ছাড়তে চলা মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ৪০টি পরিবার। চাঁদা তুলে ২০,০০০ টাকা জোগাড় করে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে আইআইটির জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার একটি কোচিং সেন্টারে।

শুধু তাই নয়, তার বাবাকেও জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে এক কারখানায় সুপারভাইজারের চাকরি।

কাজল জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকে সে দেখে এসেছে, দাদু, ঠাকুমা, বাবা ও দাদা অসুস্থ। তাঁদের চিকিৎসায় নিয়মিত খরচ হত প্রচুর টাকা। এভাবেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়ে।

কাজলের বড় ভাইও আইআইটির প্রথম সেমেস্টারের ছাত্র। তাঁর পড়াশোনারও খরচ দিতে তৈরি গ্রামের মানুষ। তাঁদের দেখে এবার কয়েকটি সংগঠন এসে দাঁড়িয়েছে এই পরিবারের পাশে, তাদের বন্ধক রাখা বাড়ির ঋণ শোধ করতে সাহায্য করছে তারা।