নয়াদিল্লিঃ মানুষ নীতিগতভাবে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন ও দয়ালু মনোভাব দেখানোর প্রতি দায়বদ্ধ। একটি প্রাণী কল্যাণ সংস্থায় একটি জখম ষাঁড়ের ঠিকমতো দেখাশোনা না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেছে আদালত। সঞ্জয় গাঁধী অ্যানিমাল কেয়ার সেন্টার নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী আবার তার সঙ্গে যুক্ত।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অভিলাষ মালহোত্রা বলেছেন, ‘জনসংখ্যা বাড়ার ফলে প্রাণীদের বসতি ও খাদ্য কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষের ওপর প্রাণীদের নির্ভরতা বাড়ছে। তাই মানুষ শুধু বিধিবদ্ধভাবেই নয়, নীতিগতভাবেও প্রাণীদের প্রতি যত্নবান হতে দায়বদ্ধ। প্রাণী কল্যাণ সংস্থাগুলি প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তাই এই সংস্থাগুলির কাছ থেকে শুধু প্রাণীদের সুস্বাস্থ্যই নয়, তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি সংক্রান্ত পদক্ষেপও আশা করা হয়।’

ওই প্রাণী কল্যাণ কেন্দ্রে থাকা বাকি প্রাণীদের প্রতিও যত্ন নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আদালত এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে ষাঁড়টিকে অন্য একটি গোশালায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

গত বছর ১২টি ষাঁড়কে একটি ট্রাকে চড়িয়ে অমানবিকভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ সেই ট্রাক আটক করে ষাঁড়গুলিকে উদ্ধার করে। সেই ঘটনা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিল আদালত।