পটনা: অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার, তারপরই পরিষ্কার হয়ে যাবে বিহারের মসনদে কে বসছেন। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতা ধরে রাখে নাকি আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট তাদের গদিচ্যুত করে, সেটা জানতে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে দেশবাসী।


কিন্তু যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনও দলই না পায়? বুথফেরৎ সমীক্ষাকে ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নিলে বিহারে বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

২৪৩ বিধানসভার বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগবে ১২২ আসন। এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা জানাচ্ছে মহাজোট পেতে পারে ১০৮ থেকে ১৩১ আসন। অপরদিকে নীতীশের এনডিএ জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ১০৪ থেকে ১২৮ আসন।

ক্ষমতার দখলের সম্ভাবনা দুই পক্ষের থাকলেও অল্প হলেও পাল্লা কিন্তু ভারী তেজস্বীর মসনদ অভিষেকেরই। তবে রাজনীতির হিসেব কখন বদলে যায়, সেটার আগে থেকে হদিশ পাওয়া কখনও কখনও মুশকিল হয়ে ওঠে।

এমন হতেই পারে, যেক্ষেত্রে ১২২ ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারল না কোনই পক্ষই। সংসদীয় নিয়মে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনও দল না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে জোট সরকার স্থাপন করার জন্য প্রস্তাব দেওয়ার নিদান রয়েছে। আসন সংখ্যার ভিত্তিতে পার্টিগুলিকে সরকার গঠনের জন্য ডাক দেন সেই রাজ্যের রাজ্যপাল।

কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, জোট বা অন্য দলের বিধায়কদের সাহায্য নেওয়ার পরও যদি কেউ সরকার গঠনের অবস্থায় না থাকে সেক্ষেত্রে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। নতুন করে নির্বাচন করানোর সংস্থানও রয়েছে।

২০১৯ সালেই মহারাষ্ট্রে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় অল্প কিছুদিনের জন্য জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। সেরাজ্যের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোসিয়ারি রাষ্ট্রপতি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কেউ সরকার গঠনের অবস্থায় নেই।