হায়দরাবাদ: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে কঙ্গোর যে মহিলাকে তাঁর স্বামী খুন করেছেন, সেই দম্পতির একমাত্র সন্তান সানিয়া এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। তাকে ঠাকুমার কাছে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। শিশুটিকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ঘুরতে হচ্ছে। এখন একটি হোমে ঠাঁই হয়েছে তার। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব শিশু অধিকার আন্দোলনকারীরা।

 

সানিয়ার বাবা রুপেশ মহানানি ও সিন্থিয়া ভেচেলের ২০০৮ সালে বিয়ে হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে সিন্থিয়াকে খুন করেন রুপেশ।

 

মা খুন হওয়ার পর সানিয়ার যে মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল বাবা গ্রেফতার হওয়ার পর তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাকে এই বয়সেই থানা, আদালত, হোমের পরিবেশ দেখতে হয়েছে। রঙ্গা রেড্ডি আদালতে প্রথমে তাকে পেশ করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারপতি। সেখানে পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার পর সেই বিচারপতিই বলেন, মেয়েটিকে পারিবারিক আদালতে নিয়ে যেতে হবে। পারিবারিক আদালত আবার বলে দেয়, সানিয়ার বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। ফলে ফের হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সানিয়াকে। এই টানাহ্যাঁচড়ায় মানসিকভাবে কুঁকড়ে গিয়েছে মেয়েটি।

 

শিশু অধিকার আন্দোলকারী ইসিদোর ফিলিপস বলেছেন, অনাথ ও পরিত্যক্ত শিশুদের যে হোমে পাঠানো হয় সেখানেই সানিয়াকে রাখার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তার এখন স্নেহ ও ভালবাসা প্রয়োজন। সেটা হোমে পাওয়া সম্ভব না। সানিয়াকে তার ঠাকুমার কাছেই রাখা উচিত।

 

সাইবারাবাদ (পশ্চিম)-এর পুলিশ সুপার নবীন চন্দ স্বীকার করেছেন, সানিয়ার সঙ্গে তার ঠাকুমার সম্পর্ক ভাল। মেয়েটিকে তার ঠাকুমার কাছেই রাখা উচিত। কিন্তু আদালত নির্দেশ না দিলে পুলিশের কিছু করার নেই।