নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু চার অভিযুক্তর। এই ঘটনাকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এবার নির্যাতিতার আত্মা শান্তি পেল।
গত ২৭ নভেম্বর যেখানে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই জায়গাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে খুন হল চার অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, এই ঘটনায় তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। হায়দরাবাদ সংলগ্ন শামসাবাদে নিজেদের বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি তেলঙ্গানা সরকার, পুলিশ ও যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর দশদিন পর এই ঘটনা ঘটল। আমি পুলিশ ও সরকারের প্রতি এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার মেয়ের আত্মা এখন শান্তি পাবে। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু এই ঘটনায় একটা কড়া বার্তা গেল। এতে অপরাধীরা ভয় পাবে ।


২৭ নভেম্বর রাতে তেলঙ্গানার শামশাবাদে পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আন্ডার পাসের কাছে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সকের দেহ পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
এদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৪ অভিযুক্তের। অস্ত্র ছিনিয়ে পুলিশকে মারার চেষ্টা, তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি, দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, পুনর্নির্মাণের জন্য রাত ৩ টে নাগাদ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় চার অভিযুক্তকে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর আন্ডার পাসের কাছে পুনর্নির্মাণের সময়, পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে, পুলিশ কর্মীদের গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে চারজন। তখনই পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের।