হায়দরাবাদ: মিনারেল ওয়াটার  কেনার জন্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি অনেক ক্ষেত্রেই দিতে হয় ক্রেতাদের। সে রেল স্টেশনই হোক বা কোনও রেস্তোরাঁ। দু-এক টাকার হেরফেরকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না কেউ। দেশের বিভিন্ন দোকানের মালিক তো নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করাটাকে অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মে পরিণত করে ফেলেছেন। কিন্তু সবারই জেনে রাখা উচিত, সর্বোচ্চ খুচরো বিক্রয় মূল্য (এমআরপি)-র চেয়ে বেশি দামে জলের বোতল কিনে থাকলে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা আদালতে বিক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। কারণ, তা বৈধ পথে ব্যবসা নীতির লঙ্ঘন।


হায়দরাবাদের এক ব্যক্তি এভাবে বেশি দামে পণ্য বিক্রয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেন এবং একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ মালিককে টেনে নিয়ে গেলেন আদালতে। আদালতের নির্দেশে ওই ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা দিতে হল রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে। বানজারা হিলসের সারভি হোটেল ওই ব্যক্তিকে ২০ টাকা দামের মিনারেল জলের বোতল ৪০ টাকায় বিক্রি করেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার চ. কোন্ডাইয়া জানতে চান, মিনারেল ওয়াটারের বোতলের এমআরপি তো ২০ টাকা। তাহলে তাঁর কাছ থেকে ৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন? তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানান, এটাই নিয়ম।

এ কথা শুনে কোন্ডাইয়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন।

আদালতে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ আতিথেয়তা আইনের নীতি উল্লেখ করে বলেন, মেনু কার্ডে উল্লিখিত দাম অনুয়ায়ীই ক্রেতাকে দাম দিতে হয়। এ জন্য ওই সংশ্লিষ্ট ক্রেতার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম চাওয়ার অভিযোগের কোনও মূল্যই নেই। কিন্তু আদালত জানায়, কোনও দেশী পণ্যের দাম নির্ধারন করার পূ্র্ণ অধিকার হোটেল কর্তৃপক্ষের রয়েছে। কিন্তু প্যাকেজবন্দী কোনও পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেওয়ার অধিকার নেই।

আদালত আরও জানায়, এমআরপি-র চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়া ২০১১-র প্যাকেটবন্দী পণ্যে সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের সামিল। এজন্যই আদালত রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।