নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) বাম ছাত্রজোটের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে অ্যালায়েন্স ফর সোস্যাল জাস্টিস (এএসজে) নামে মঞ্চ গড়ে এবিভিপি-কে চূর্ণ করল বাম, দলিত, আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছাত্র গঠনগুলি। সব কটি পদেই জিতেছে তারা। সব মিলিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনজন দলিত, দুজন মুসলিম ও এক আদিবাসী প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, গত বছর দলিত পড়ুয়া-গবেষক রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর এহেন মর্মান্তিক পরিণতির কারণ খতিয়ে দেখতে গঠিত বিচারপতি রূপানওয়াল কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে ভেমুলা দলিত নন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এও বলা হয়েছে যে, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও হাত নেই। সেখানকার পড়ুয়ারা কমিশনের এমন রিপোর্টে ক্ষুব্ধ।

এই প্রেক্ষাপটেই গত শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ফল বেরতে দেখা যায়, সঙ্ঘ পরিবার-ঘেঁষা ছাত্র সংগঠনের বিপুল পরাজয় হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অম্বেডকর স্টুডেন্টস ইউনিয়নের শ্রীরাগ পইকাদান, নিকটতম এবিভিপি প্রার্থী করন পালসানিয়াকে ১৭০ ভোটে হারিয়ে।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এসএফআইয়ের আরিফ আহমেদ। তিনি ৪০৯ ভোটে পরাজিত করেছেন এবিভিপি-র কিরণ কুমারকে।

যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশনের মহম্মদ আশিক। তিনি ২৮১ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন এবিভিপি প্রতিদ্বন্দ্বী রানিকে। দলিত স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রার্থীরা এবিভিপি প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ন্যাশনাল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ফোরাম প্রার্থী লুনাভাথ নরেশ নির্বাচিত হয়েছেন এবিভিপি-র অপূর্বকে ২৬১ ভোটে হারিয়ে। যদিও লুনাভাথের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকায় এই পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণা স্থগিত রেখেছে নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটি।