সন্ধ্যা রানি নামের ওই তরুণী, সিকান্দ্রাবাদ এলাকায় এক সংস্থায় রিসেপশনিস্টের কাজ করতেন। কাজ শেষে, গতকাল সঙ্গে ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় কার্তিক নামের ওই প্রাক্তন সহকর্মী নিজের বাইকে চেপে মেয়েটির কাছে হাজির হন। এর আগে দুবছর তাঁরা একসঙ্গে একটি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধেবেলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। জায়গাটি হায়দরাবাদ থেকে ১০ কিমি দূরে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় আচমকাই একটি কেরোসিনের ক্যান বের করে সন্ধ্যার গায়ে ঢেলে দেন ওই তরুণ। তারপর আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যান কার্তিক।
প্রকাশ্যে এভাবে মেয়েটিকে জ্বলতে দেখে, আশপাশের লোকেরা ছুটে আসে সাহায্য করতে। কিন্তু যতক্ষণে আগুন নেভে, ততক্ষণে মেয়েটির ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আজ সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সন্ধ্যার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত কয়েক মাস ধরে সন্ধ্যাকে অনুসরণ করছেন কার্তিক। কিন্তু মেয়েটি কোনওদিনই নাকি ছেলেটির ডাকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও পুলিশের দাবি, অতীতে দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
বর্তমানে কোনও চাকরি ছিল না কার্তিকের, এবং তিনি মারাত্মক পরিমাণের মদ্যপানও করছিলেন নিয়মিত। প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক সুমথীর দাবি, সম্প্রতি কার্তিক সন্ধ্যাকে তাঁকে বিয়ে করার জন্যে চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি তরুণীকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্যেও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এই নিয়ে তাঁদের ফোনেও একাধিকবার বাদানুবাদ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।