হায়দরাবাদ:  স্ত্রীর দোষ তিনি ডাক্তারি পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে পারেননি। সেইজন্যে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হল। হায়দরাবাদ পুলিশের সন্দেহ, ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীকে পুড়িয়ে মেরেছেন তাঁরই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। ঘটনায় অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


মৃত হরিকা কুমারের বাবা-মা তাঁদের মেয়ের মৃত্যুকে একটি সুপরিকল্পিত খুনের ঘটনা বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া ছেলে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। হরিকার মা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তাঁর জামাই রুশি কুমার তাঁকে ফোন করে বলেন, তাঁদের মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের এলবি নগরের রক টাউন কলোনিতে। ফোনে জামাই ঘটনাটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে দাবি করলেও, হরিকার মা-বাবার দাবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। তারপরই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন।

হরিকার মায়ের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরে ডাক্তারি পড়ার জন্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মেয়ে। কিন্তু একাধিকবারের চেষ্টার পরও অসফল ছিলেন। এবছর দাঁতের ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলেও, তাতে আপত্তি ছিল ইঞ্জিনিয়ার জামাই রুশি কুমারের। মেয়েকে মাঝে মধ্যেই ডিভোর্স দিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতেন অভিযুক্ত ব্যক্তি বলে জানিয়েছেন মৃত তরুণীর বাবা।

দু বছর আগে হরিকা এবং রুশিকার বিয়ে হয়। তারপর থেকে ডাক্তারি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ না হওয়ার জন্যে তাঁকে বারংবার হেনস্থা করতেন রুশি কুমার। আপাতত মৃত তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে দেহে আগুন পুড়িয়ে দেওয়ার আগে, তরুণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছিল কিনা, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।আপাতত পুলিশ মেয়েটির বিভিন্ন পরিচিত বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।