নয়াদিল্লি: চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে ভুল বলে দাবি করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ নিজের বক্তব্যে অনড়। তাঁর দাবি, ‘আমি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি। আমি কলা বিভাগে পড়াশোনা করিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছি। আমি ভিত্তিহীন মন্তব্য করি না। সারা বিশ্বে ডারউইনের মতবাদের বিরোধিতা করা হয়েছে। ডারউইনের তত্ত্ব একটা জনশ্রুতি।’

ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রাণীদের সব প্রজাতিই বহু বছর ধরে ক্রম উৎকর্ষ সাধন আর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। বিবর্তনের এই নানান শাখা-প্রশাখায় ভাগ হবার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসাবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে যে সমস্ত প্রকারণ বা ভেদ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে এবং তাদের উদবর্তন ঘটবে । ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংরেজ প্রকৃতিবিদ ডারউইন ও অন্যান্যদের চেষ্টায় এই বিবর্তন তত্ত্ব গড়ে ওঠে।

কিন্তু সত্যপালের দাবি, ডারউইনের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। কারণ, মানুষের চেহারায় কোনও বদল হয়নি। সৃষ্টির সময় থেকেই মানুষ বর্তমান আকারে ছিল। কোনও বানরের মানুষে পরিণত হওয়ার কথা জানা যায়নি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এই দাবির বিরোধিতা করে তাঁর সমালোচনা করেছেন বিজ্ঞানী রাঘবেন্দ্র গদাগকর ও বায়োকন সংস্থার প্রধান কিরণ মজুমদার শ। রাঘবেন্দ্র বলেছেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের মেরুকরণ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’ কিরণ বলেছেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের অপমান। এটা তাঁর দফতরেরও অপমান। জীববিজ্ঞানী হিসেবে কী বলব বুঝতে পারছি না।’