বেঙ্গালুরু: পুলিশের জিপে বসে জেলে ঢুকবেন না তিনি। বরং তার থেকে হেঁটে যাবেন। বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যাওয়ার সময় এভাবেই পুলিশের কথা মানতে আপত্তি জানালেন শশীকলা নটরাজন। তাঁর পরিষ্কার কথা, কয়েদের মধ্যে বসতে তাঁর আপত্তি নেই কিন্তু ছিঁচকে অপরাধীর মত খোলা জিপে বসে যাবেন না।


শশীকলা জানান, দূরত্ব যতই হোক, হাঁটতে অসুবিধে নেই তাঁর। পুলিশের কথা অগ্রাহ্য করে শেষমেষ হেঁটেই জেলে ঢোকেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, তাঁর শরীরী ভাষাতেই নাকি পরিষ্কার ছিল, তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং হতাশ।

জানা যাচ্ছে, শেষ কয়েক বছর বিপুল বৈভবে জীবন কাটানো শশীকলা ভেবেছিলেন, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় গতবার যখন তিনি জেলে যান, তখন যে ব্যবহার পেয়েছিলেন, এবারেও সেই ভিআইপি ট্রিটমেন্টই থাকবে তাঁর জন্য। হয়তো মনে ছিল না, তখন তাঁর সঙ্গে জেলে ছিলেন জয়ললিতা জয়ারাম, যিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শারীরিক সমস্যা থাকায় জয়াকে এ গ্রেড সুযোগসুবিধে দেওয়া হয়, তাঁর সঙ্গে থাকায় শশীকলাও পান সে সব সুবিধে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা কারণ ভিআইপি কয়েদি হিসেবে তাঁকে দেখতে জমা পড়া আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

জানা যাচ্ছে, শশীকলাকে বলা হয়েছে, তিনি যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নন, তাই কোনও আলাদা সুযোগসুবিধে তাঁকে দেওয়া হবে না। এই কথা নাকি তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।

যে সেলে শশীকলাকে রাখা হয়েছে, তার বাথরুম অর্ধেকটা খোলা। রাতেও ভাল করে ঘুমোতে পারেননি তিনি। তাঁকে থাকতে হচ্ছে এই মামলায় আর এক কয়েদি, তাঁর বৌদি ইলাভারাসির সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে মাঝে মধ্যে দুএকটা কথা ছাড়া শশীকলা নাকি মুখ বুজেই রয়েছেন। তামিলনাড়ুর কী পরিস্থিতি, তাও জানতে চাননি কারও কাছে।

তবে শারীরিক সমস্যার কারণে শশীকলাকে ছোট একটি খাটিয়া দেওয়া হয়েছে। পরার জন্য দেওয়া হয়েছে মহিলা কয়েদিদের সাদা শাড়ি। কিন্তু সঙ্গে ম্যাচিং সাদা ব্লাউজ না থাকায় তা পরেননি শশীকলা। এআইএডিএমকে-র অনেক নেতাকর্মীই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।