নয়াদিল্লি: 'আমার বাঁচার কোনও ইচ্ছা নেই...আমি মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করছি'। মৃত্যুর নয়দিন আগে স্বামী শশী তারুরকে ই-মেলে এ কথা লিখেছিলেন সুনন্দা পুষ্কর। দিল্লির একটি আদালতকে পুলিশ এ কথা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সুনন্দাকে দিল্লির একটি অভিজাত হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
পুলিশ আদালতকে আরও বলেছেন, বিষক্রিয়ায় সুনন্দার মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর রুমে ২৭ টি অ্যাপ্রাক্স ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছিল। তবে কতগুলি ট্যাবলেট তিনি খেয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।
চার্জশিট থেকে উদ্ধৃত করে দিল্লি পুলিশ অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশালকে বলেছে যে, সুনন্দার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই আঘাত তিনি মৃত্যুর আগে পেয়েছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এর প্রতিফলন রয়েছে।
পুলিশের দাবি, ২০১৪-র ৮ জানুয়ারি তারুরকে পাঠানো ইমেলে সুনন্দা লিখেছিলেন, 'আমি পরীক্ষার পরোয়া করি না। আমার বেঁচে থাকার কোনও ইচ্ছেই নেই..আমি মৃত্যুর কামনা করছি'।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুনন্দার মেল ও মেসেজকে 'মৃত্যুকালীন বয়ান' হিসেবে গ্রহণ করা উচিত বলে আদালতকে বলেছে পুলিশ।
এই মামলায় তারুরকে অভিযুক্ত হিসেবে তলব করা হবে কিনা, সে বিষয়ে নির্দেশদানের বিষয়টি ৫ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।
ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের ১১৩এ ধারা উল্লেখ করে বিশেষ সরকারি কৌসুলি অতুল শ্রীবাস্তব দাবি করেছেন, এটা ধরে নেওয়া যায় যে, যদি তিনি আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই মৃত্যুর আগে নিষ্ঠুরতার স্বীকার হয়েছেন। তিনি এ জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হিসেবে গন্য করা যায়।


উল্লেখ্য, গত ১৪ মে দিল্লি পুলিশ লোকসভা সাংসদ তারুরের বিরুদ্ধে সুনন্দার আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনে এবং সাড়ে চার বছরের পুরানো এই মামলায় তারুককে তলব করার আর্জি আদালতের কাছে জানায়। পুলিশ দাবি, তারুরের বিরুদ্ধে তাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১৪-র ১৭ জুন দক্ষিণ দিল্লির একটি হোটেলের রুমে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুনন্দাকে।