মুম্বই: নিজেকে ‘শান্তিকামী’ বলে দাবি করে সন্ত্রাসবাদী যোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি এ বছরে ভারতে ফেরার সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন জাকির নায়েক। বিতর্কিত ইসলাম প্রচারককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, আমার সফর সংক্রান্ত যে প্ল্যান-পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে আগামী বছর ভারতে ফিরতে পারি, তার আগে নয়।


বাংলাদেশের গুলশনের অভিজাত রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসবাদী হামলায় মদত জুগিয়েছে তাঁর উগ্র ভাষণ, এমন অভিযোগ উড়িয়ে তিনি দাবি করেছেন, তিনি কোনওদিন কোনও নিরপরাধ মানুষ মারায় উত্সাহ দেননি কাউকে। সন্ত্রাসের তদন্তে তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া হলে তিনি সহযোগিতা করতে রাজি বলেও জানান বিতর্কিত ধর্মীয় নেতাটি।

আজ সৌদি আরব থেকে স্কাইপ-এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি কখনও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেননি। জাকির বলেছেন, আমি ২৫ বছর ধরে ভাষণ দিচ্ছি, কিন্তু কখনও সন্ত্রাসবাদকে উত্সাহিত করিনি।
নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে দাবি করে জাকির বলেছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা ও বিকৃত করা হয়েছে। এদিন ফ্রান্সের নিসে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তাঁর সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন জাকির।
উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশনে নারকীয় জঙ্গি হামলায় জড়িত এক জঙ্গি জাকিরের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই জাকিরকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বাংলাদেশে জাকিরের পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতেও তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে গত ১১ জুলাই দেশে ফেরার কথা থাকলেও জাকির ফেরেননি। এরপর তাঁর সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। কিন্তু তিনবার ওই বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। গতকালও তাঁর সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। হোটেল ভাড়া না পাওয়ার কারণে ওই বৈঠকও বাতিল করে দেওয়া হয়।
জাকির বলেছেন, আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা ইসলাম-বিরোধী। তবে যুদ্ধের সময় দেশকে রক্ষার জন্য আত্মঘাতী হামলা কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে জাকির বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আত্মঘাতী হামলা ছিল অন্যতম রণকৌশল।
জাকির দাবি করেন, গত সাত-আট দিনে কোনও সরকারি আধিকারিক তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি। জাকির আরও দাবি করেন, অতীতে আইপিএস আধিকারিকদের সামনে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে তিনি সরকারি সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন জাকির।