নয়াদিল্লি: আগামী বছরই কমব্যাট রোল (যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত) –এর জন্য তেজস যুদ্ধবিমানকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় বায়ুসেনা।


আগামী মাসেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর প্রথম স্কোয়াড্রন গঠন করতে চলেছে বায়ুসেনা। বাহিনী সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরু-স্থিত বাহিনীর ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন (পোশাকী নাম ‘ফ্লাইং ড্যাগার্স’) এই বিমানের দায়িত্ব নেবে। প্রথম ২ বছর, সেখানেই হবে তেজস-এর বেস। পরে তা সরানো হবে তামিলনাড়ুর সুলুরে।

আগামী ১ জুলাই, প্রথম দুটি তেজস যুদ্ধবিমানকে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দিয়েছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। বাহিনীর দাবি, এই বিমান চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বিমানের চেয়ে অনেকটাই উন্নত। বাহিনী চাইছে, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে অন্তত ৬টি বিমান হাতে পেতে। এরপর আগামী আর্থিক বছরে হ্যালের সমানে আরও ৮টি বিমানের দাবি পেশ করেছে বায়ুসেনা।

বাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এখন আরও দেরি করা ঠিক নয়। তাঁর মতে, স্কোয়াড্রন গড়ে তুলতেও কিছুটা সময় ব্যয় হবে। ফলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান হাতে চলে আসা প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, তেজসকে সীমান্ত অঞ্চলের ফরোয়ার্ড পোস্টেও পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আইএএফ।

বাহিনী সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে পুরনো হয়ে যাওয়া এবং ধুঁকতে থাকা মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ফলে, তা মাঝ-আকাশে বিমানে-বিমানে যুদ্ধে (কমব্যাট রোল) অংশ নেবে। প্রয়োজনে গ্রাউন্ড অ্যাটাকের দায়িত্ব নিতেও দেখা যাবে এই সিঙ্গল-ইঞ্জিনের বিমানকে। আবার কখনও আকারে বড় সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানকে সহায়তাও দেবে তেজস।

বাহিনীর পরিকল্পনা, প্রতিটি স্কোয়াড্রনে ২০টি করে বিমান থাকবে। এছাড়া আরও ৪টি বিমান রিজার্ভে থাকবে। পরবর্তীকালে, আরও উন্নতি প্রযুক্তি যোগ করে ‘তেজস ১এ’  নামে বিমানের নতুন মডেল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। উন্নত ভার্সানে এইএসএ রেডার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুইট, মিড-এয়ার রিফুয়েলিং, বিভিআর সহ একাধিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিমানে।