সম্প্রতি অরুণাচলের পশ্চিম সিয়াং জেলার ইয়ারগিয়াপ নদী উপত্যকায় অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের আপগ্রেডিং অর্থাত্ তাকে আরও উন্নত করার কাজ শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের সময় কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির মধ্যে ছিল মেচুকা। ওই এলাকায় ১৯৬২-তে বায়ুসেনা অপারেশন শুরু করেছিল ডাকোটা, ওটার দিয়ে। তারপর সামিল করা হয় আন্তোনভ-৩২কে, যা এএন-৩২ নামেই পরিচিত। আপগ্রেডিং শুরু হওয়ার আগে ২০১৩-র অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে এএন-৩২কে।
অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড থেকে সবচেয়ে কাছের বিমানঘাঁটি, রেল স্টেশন আছে ডিব্রুগড়ে, প্রায় ৫০০ কিমি দূরে। ভূমিধসের জেরে রাস্তা বসে না গেলে সেখানে যেতে সাধারণত দু দিন লাগে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এএন-৩২ ও সি-১৩০জি বিমানের বর্তমান ক্ষমতা থেকে এক লাফে গুণগত ভাবে শক্তি অনেকটা বেড়ে যাবে এর ফলে। যেখানে রাস্তাঘাটের সংযোগ নেই, উঁচু পাহাড়, উপত্যকায় ভরা অসমতল অঞ্চল, সেখানে দ্রুত লোকজন, পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এ ধরনের বিমান। ওই এলাকায় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সি-১৭ কে নামিয়ে দ্রুত, অনেক বেশি পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো যাবে।
ভিডিও ও স্থিরচিত্র : প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সৌজন্যে