নয়াদিল্লি: দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল বিকে বনশলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই দুর্নীতির মামলায় বনশলের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর গতকাল দিল্লির মান্ডু বিহারে নীলকান্ত অ্যাপার্টমেন্টের বাড়ির দুটি ঘরে বনশলের মেয়ে ও স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁরা সুইসাইড নোটও রেখে যান। পৃথক দুটি সুইসাইড নোটে বনশলের স্ত্রী সত্যবালা (৫৮) ও মেয়ে নেহা (২৮) লেখেন, বাড়িতে সিবিআই হানার পর তাঁরা যে গ্লানির মুখে পড়েছেন, তারপর আর বেঁচে থাকতে চান না। যদিও আত্মহত্যার জন্য তাঁরা কাউকে দায়ী করে যাননি।

এদিন স্ত্রী ও মেয়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্য কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার অফিসার বনশলের দুদিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে দিল্লির একটি বিশেষ আদালত। বিচারক গতকালের আত্মহত্যার ঘটনার উল্লেখ করে এ ধরনের মামলায় গ্রেফতারি কতটা প্রয়োজন, তা সিবিআইকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন। বিচারক বলেন, এটা খুন-জখমের মতো প্রচলিত অপরাধ নয়। আগে সিবিআই এ ধরনের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করত না।

এদিন বনশলের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানান। সিবিআইও মানবিকতার খাতিরে সেই আর্জির বিরোধিতা করেনি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই একটি প্রথমসারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বনশলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আট জায়গায় অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছে।