জম্মু: সীমান্ত সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানের কাছে তীব্র প্রতিবাদ দায়ের করল ভারত।
বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক সীমান্তে বৈঠক করেন বিএসএফ ও পাক রেঞ্জার্সের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই ভারত জানিয়ে দেয়, বিনা প্ররোচনায় সীমান্তপার গুলিচালনার ঘটনাকে বরদাস্ত করা হবে না।
বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, পাক রেঞ্জার্সের অনুরোধে এদিন সীমান্ত লাগোয়া সুচেতগড়ে হওয়া ওই কমান্ডার-পর্যায়ের বৈঠক হয়। কয়েকদিন আগে ভারতের তরফে এমনই এক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তখন পাকিস্তান ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি। গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ক্রমাগত গোলাগুলি বিনিময়ের পর এই প্রথম দুপক্ষ বৈঠকে বসেছিল। সেখানে পাক হামলার তীব্র নিন্দা করেছে বিএসএফ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত ৩ এবং ১৭ জানুয়ারি পাক স্নাইপারের গুলিতে ২ ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু এবং তার সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামে লাগাতার গোলাগুলি চালিয়ে নিরীহ নাগরিকদের মেরে কাপুরুষোচিত কাজ করেছে ইসলামাবাদ।
বিএসএফ জানিয়ে দিয়েছে, এধরনের বিনা প্ররোচনায় হামলা মেনে নেওয়া য়ায় না। ভারত তা বরদাস্ত করবে না। প্রায় ৩০-মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে ৫ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএসএফ-এর ডিআইজি পি এস ধিমান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তরফে ছিলেন ১০ জন। নেতৃত্ব দেন পাক রেঞ্জার্সের ব্রিগেডিয়ার আমজাদ হুসেন।
এক বিবৃতি জারি করে বিএসএফ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানের বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতির জবাবে তারা ৯ হাজার রাউন্ড মর্টার বর্ষণ করে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ছাউনিকে টার্গেট করে, যেগুলি থেকে ভারতের দিকে অনবরত গোলাগুলি ছোঁড়া হচ্ছিল। একাধিক জায়গায় পাক বাহিনীর ফায়ারিং পজিশন এবং জ্বালানি ভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিএসএফ।
এদিন, বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা একবাক্যে স্বীকার করেন যে, ১৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিস্থিতি বর্তমানে ভীষণই উত্তেজনাপ্রবণ। বাহিনীকে চরম সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।